বিমানের ডিজিএমের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

সাড়ে চার কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বাংলাদেশ বিমানের উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) মো. এমদাদ হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

একই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগও আনা হয়েছে।

রোববার রাজধানীর বিমানবন্দর (ডিএমপি) থানায় দুদকের উপ-পরিচালক হামিদুল হাসান বাদি হয়ে মামলাটি (মামলা নং- ২১) দায়ের করেন। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, বিমানের ডিজিএম এমদাদ হোসেন বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জটিল লেনদেনে লেয়ারিং করে অর্থের উৎস, অবস্থান এবং মালিকানা গোপন করার চেষ্টা করেন।

কিন্তু দুদকের অনুসন্ধানে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ উপায়ে নিজের ও পরিবারের সদস্যদের নামে জ্ঞাত আয় বর্হিভূত চার কোটি ৫৮ লাখ ৩৬ হাজার ১৭৫ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করার প্রমাণ পাওয়া যায়।

সূত্র আরো জানায়, আইডিএলসি ফাইন্যান্স লিমিটেডের গ্রাহক মো. এমদাদ হোসেনের স্ত্রী আইরিন হোসেন, কন্যা ইসমত তাবাসসুম এবং তার কর্মচারী মির্জা আব্দুস সাত্তার ও মো. মাজেদুল ইসলামের নামে ব্র্যাক ব্যাংক ও দি সিটি ব্যাংক লিমিটেডে হিসাব খোলেন। এসব হিসাবে প্রচুর আর্থিক লেনদেন করেন।

হিসাব খোলার ফর্মে ব্যবসায়ী উল্লেখ করা হলেও ওই সব হিসাবে কোটি কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে তা সমাঞ্জস্যপূর্ণ নয়। এসব জটিল লেনদেনের মাধ্যমে বেশ কয়েকটি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে লেনদেনের লেয়ারিং বিস্তার করে অর্থের উৎস, অবস্থান, মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণ গোপন করার অবৈধ প্রচেষ্টা করেছেন ডিজিএম এমদাদ।

দুদকের অনুসন্ধানে তার অর্জিত ৪ কোটি ৫৮ লাখ ৩৬ হাজার ১৭৫ টাকার কোন বৈধ উৎস পাওয়া যায়নি কিংবা তিনি দেখাতে পারেননি। এ কারণে তার বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিংয়ের অপরাধ আনা হয়েছে।

দুদক মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২ এর ২ (ফ) এর অ (১), ঈ এবং ২(শ) ধারায় এ মামলা দায়ের করে।

এমদাদ হোসেন সরকারি শুল্ক ফাঁকি দিয়ে স্বর্ণ চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ২০১৪ সালের ১২ নভেম্বর দায়েরকৃত মামলায় গ্রেফতার হন। বর্তমানে তিনি ঢাকা জেলার কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছেন।



মন্তব্য চালু নেই