বিমানের ‘চোর কর্মীদের’ বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আদালতের নির্দেশ

কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যেও হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রায় প্রতিদিনই যাত্রী ও ব্যবসায়ীদের ব্যাগ, মালামাল চুরি হচ্ছে। চুরির সঙ্গে বিমান কর্মীদের সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগও রয়েছে। চুরির অপরাধে একাধিক বিমানকর্মীকে আটক করেছে বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ, সাজাও দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

আটক হওয়া বিমানকর্মীর স্বীকারোক্তিতে বেরিয়ে এসেছে বিমানের সিকিউরিটি সেকশনের আরও কর্মকর্তা-কর্মচারীর চুরির সঙ্গে যোগসাজসের চাঞ্চল্যকর তথ্য। চুরি রোধে বিমানের অসাধু কর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ভ্রাম্যমাণ আদালত থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। নির্দেশনার কপি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে (এমডি) পাঠানো হবে। এমন তথ্য জানালেন বিমানবন্দরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রট শরীফ মো. ফরহাদ হোসেন।

এর আগে গত বছর ১৭ ডিসেম্বর ঢাকা কাস্টম হাউজের কমিশনার লুৎফর রহমান স্বর্ণ চোরাচালানে বিমানের কর্মীরা জড়িত থাকার অভিযোগে ব্যবস্থাপনা পরিচালককে নোটিশ করেন। বিমান কর্তৃপক্ষকে সেই ঘটনা তদন্ত করে দোষীদের নামের তালিকাসহ ১৫ দিনের মধ্যে নোটিশের জবাব দিতেও বলা হয়েছিল।

সূত্র জানায়, শাহজালাল বিমানবন্দর সিভিল এভিয়েশন অথরিটির হলেও কোনও ধরনের অভিজ্ঞতা ছাড়াই এককভাবে দুই ধরনের হ্যান্ডেলিং করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিংয়ের আওতায় বিভিন্ন এয়ারলাইনস ও যাত্রীদের লাগেজসহ বিভিন্ন সেবা দেওয়া হয়।

কার্গো হ্যান্ডলিংয়ের আওতায় ব্যবসায়ীদের আমদানি-রফতানিতে সেবা দেওয়া হয়। বিমানবন্দর থেকে প্রতিদিনই যাত্রী ও ব্যবসায়ীদের মালামাল চুরি হচ্ছে। অভিযোগ দিয়েও প্রতিকার পাচ্ছেন না ভুক্তভোগীরা। এসব ঘটনার জন্য বিমানবন্দরে আমদানি-রফতানিতে কার্গো হ্যান্ডলিং ও গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিং এজেন্ট হিসেবে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসকে দুষছেন যাত্রী ও ব্যবসায়ীরা।



মন্তব্য চালু নেই