বিমানবন্দরে আবেগঘন পরিবেশ

পবিত্র হজ পালন শেষে দেশে ফিরেছেন ৩০৫ জন হাজি। রবিবার বিকালে সৌদি এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে তারা দেশে ফেরেন।

চোখের সামনে প্রায় ৮০০ হাজির মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনা প্রত্যক্ষ করে আসা হাজিরা দেশের মাটিতে পা ফেলার পর স্বজনদের কাছে পেয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। স্বজনদের সঙ্গে পুনর্মিলনের এই ক্ষণে বিমানবন্দরে রীতিমতো আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। নিরাপদে ফেরার জন্য অনেককেই এসময় দুহাত তুলে আল্লাহর দরবারে মোনাজাতও করতে দেখা যায়।

আগামীকাল সোমবার থেকে বাংলাদেশ বিমানের হজ ফ্লাইট শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সৌদি এয়ারলাইন্সই সবার আগে হাজিদের নিয়ে ঢাকার মাটিতে পা রাখলো। হজরত শাহজালাল বিমানবন্দরে অবতরণকারী এ ফ্লাইটে ৩২০ জন যাত্রীদের মধ্যে ৩০৫ জনই হাজি ছিলেন। আসার খবর শুনে দুপুর থেকেই স্বজনরা বিমানবন্দরে ভিড় করতে থাকেন।

মৃত্যুর পর স্বজনদের বেশিরভাগের মাঝে উৎকণ্ঠা নেমে আসে। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে স্বজনরা ফোন করে তাদের খরর জানার চেষ্টা করতে থাকেন।

অবশেষে রবিবার রাতে সাড়ে সাতটার দিকে বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা সেরে হাজিরা বের হতে শুরু করলে অনেকেই দৌড়ে গিয়ে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে থাকেন।

পবিত্র কর্তব্য পালন শেষে দেশে ফেরার আনন্দে হাজিদের চোখ দিয়ে এসময় পানি গড়িয়ে পড়ছিল। স্বজনদের এভাবে কাঁদতে দেখে আশপাশের লোকদেরকেও চোখ মুছতে দেখা যায়।

বিমানবন্দরে উপস্থিত একজন হাজি গণমাধ্যমকে জানান, দুর্ঘটনার আগেই আমরা প্রতীকী শয়তানকে পাথর মেরে নিরাপদ স্থানে চলে যাওয়ার পর মৃত্যুর খবর পাই। আমি পরে শুনেছি যে, ঘটনার দিন প্রচন্ত গরম ছিল। এ সময় আকাশ থেকে পানি ছিটানো হয় প্রচুর পরিমানে। বেশি পরিমাণে পানি ছিটানোর কারনে রাস্তায় পানি জমে যায় এবং কোনো কারনে ঐ পানি বিদ্যুতায়িত হয়ে যায় এবং এর ফলে এতোগুলো মানুষ মারা যায়। মানুষের স্রোত এতো বেশি ছিল যে সামনে আগানো ছাড়া আর কোনো উপায় ছিল না। ঘটনার দিন তীব্র গরমে হাজিরা ক্লান্ত হয়ে পড়েছিল।

এমন বিপদ থেকে নিরাপদে হাজিরা দেশে ফেরত আসায় তাদের স্বজনদের অনেকেই উপস্থিতিদের মধ্যে মিষ্ট বিতরণ করতে দেখা যায়।



মন্তব্য চালু নেই