বিনা বিচারে পাঁচ বছর ধরে চট্টগ্রাম কারাগারে ৫৬ কয়েদি

গত পাঁচ বছর ধরে বিনা বিচারে চট্টগ্রাম কারাগারে বন্দি রয়েছেন ৫৬ কয়েদি। তাদের বিরুদ্ধে ঝুলে আছে ৬৫টি মামলাও। সম্প্রতি এসব বন্দির তালিকা করে রাষ্ট্রপক্ষকে চিঠি দিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ।

নানা কারণে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ না হওয়ায় এসব মামলা নিষ্পত্তি হচ্ছে না। আর এজন্য বিচার সংশ্লিষ্টদের অবহেলাকে দায়ী করছেন সিনিয়র আইনজীবীরা।

চট্টগ্রাম জেলা পিপি অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, জেলখানার যে ধারণ ক্ষমতা আছে, তার চেয়ে বেশি কয়েদি হয়ে গেছে। তাই পুরনো মামলাগুলোর প্রতি বিশেষ নজর দেয়া উচিত। তাড়াতাড়ি এসব মামলা নিষ্পত্তি করা দরকার।

বিনা বিচারে বছরের পর বছর বন্দি কয়েদিদের কারণে কারাগারে বাড়ছে চাপ। তাই তাদের তালিকা করে চট্টগ্রাম কারা কর্তৃপক্ষ সরকারি আইন কর্মকর্তাদের কাছে পাঠিয়েছে।

কারা কর্তৃপক্ষের তালিকা অনুসারে, ৬৫টি বিচারাধীন মামলায় আটক রয়েছে ৫৬ জন। যারা ৫ থেকে ১৩ বছর পর্যন্ত আটক আছেন। এর মধ্যে মহানগরের বিভিন্ন মামলায় ৩৩ জন আর জেলায় সেই সংখ্যা ২৩ জন। এর মধ্যে আবার ৪০টিই হত্যা মামলা।

অনুসন্ধানে দেখা গেছে, বেশিরভাগ মামলাই নিষ্পত্তি হচ্ছে না সাক্ষ্য শেষ না হওয়ায়। তাতে বার বার দিনক্ষণ ধার্য হলেও সাক্ষী হাজির হচ্ছে না আদালতে। এসব মামলার সাক্ষী হাজির করার দায়িত্ব পুলিশের। কিন্তু তার বেশিরভাগই পালন হচ্ছে না বলে অভিযোগ। যদিও এ ব্যাপারে কোনো গাফিলতি নেই বলে দাবি পুলিশ কর্মকর্তাদের।

সংশ্লিষ্টদের অবহেলার কারণে এসব ব্যক্তিকে দীর্ঘদিন কারগারে থাকতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সিনিয়র আইনজীবী। বিচারপ্রক্রিয়ায় এ দীর্ঘসূত্রতা কমানো না গেলে ভুক্তভোগীরা ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হবে। পাশাপাশি বিচার ব্যবস্থার প্রতি মানুষের মনে এক ধরনের অনাস্থা তৈরি হবে বলে মনে করেন এই আইনজীবী।

এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম মহানগর পিপি অ্যাডভোকেট ফখরুদ্দিন চৌধুরী জানান, মামলার সাক্ষীরা আদালতে না আসায় মামলার কার্যক্রম থমকে আছে। এ কারণেই মূলত মামলাগুলো নিষ্পত্তি হচ্ছে না।



মন্তব্য চালু নেই