বিনা বিচারে দেড় যুগ : ৪ জনকে আদালতে হাজিরের নির্দেশ

বিনা বিচারে দেড় যুগের বেশি সময় কারাগারে বন্দি থাকা চারজনকে আগামী ৪ ডিসেম্বর আদালতে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

একই সঙ্গে এ চারজনকে কেন জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে।

রোববার বেলা ১১টায় বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে এ রুল জারি করেন।

বিনা বিচারে কারাগারে থাকা এই চারজন হলেন চাঁন মিয়া, মকবুল, সেন্টু ও বিল্লাল।

বিনা বিচারে কারাগারে বন্দি থাকা এই চারজনকে নিয়ে একটি বেসরকারি টেলিভিশনে প্রচারিত এক প্রতিবেদন আইনজীবী কুমার দেবুল দে নজরে আনলে আদালত এই আদেশ দেন।

এই চারজনের মধ্যে চাঁন মিয়া কাশিমপুর কারাগারে ১৯৯৯ সাল থেকে বন্দি আছেন ঢাকার শ্যামপুর থানার একটি হত্যা মামলায়। যার কয়েদি নম্বর ২৮৩৪। এই দেড় যুগ চাঁন মিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া হত্যা মামলার কোনো অগ্রগতিই হয়নি। মামলাটি বর্তমান ঢাকার পরিবেশ আদালতে বিচারাধীন।

একই ঘটনা মাদারীপুরের মকবুল হোসেনেরও। রাজধানীর উত্তরা থানার একটি হত্যা মামলায় ২০০০ সালে গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন মকবুল। তার কয়েদি নম্বর ৬৬৬। এর পর থেকে দীর্ঘ ১৭ বছর মামলাটি আর আলোর মুখ দেখেনি। ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে মকবুলের পক্ষে আইনি লড়াই করারও কেউ ছিল না।

মতিঝিলের এজিবি কলোনির সেন্টু কামাল গ্রেপ্তার হন ২০০১ সালে। সবশেষ গত মাসেও তাকে হাজির করা হয়েছিল ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩-এ। কিন্তু ১৬ বছরে ৫৯ কার্যদিবস আদালতে হাজির করা হলেও মামলা শেষ হয়নি।

মামলা শেষ হয়নি কুমিল্লার বিল্লাল হোসেনেরও। তেজগাঁও থানায় দায়ের হওয়া একটি হত্যা মামলায় বিল্লাল হোসেন কাশিমপুর কারাগারে বন্দি রয়েছেন ২০০২ সাল থেকে। তার মামলাটিও বিচারাধীন আছে ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে।



মন্তব্য চালু নেই