ঈদ বাজার

বিদেশি পণ্যের দিকে ঝুঁকছেন ক্রেতারা

ঈদকে ঘিরে কোনাকাটার আনন্দের শেষ নেই। আজ ধানমন্ডি তো কাল বসুন্ধরা, এরপর গুলশান। এভাবেই ঘুরে ফিরে সবার ঈদ কেনাকাটা চলছে। আর এ সুযোগকে হাত ছাড়া করতে রাজি নন দোকান মালিকেরাও। তাইতো প্রতিটি ঈদ বাজার ও এর দোকানগুলোকে ক্রেতা বান্ধব করে সাজিয়ে তোলা হয়েছে।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, বরাবরের মতই বিদেশী পণ্যের প্রতি ক্রেতা চাহিদা খুব বেশি। আর সে কারণেই ক্রেতারা রাজধানীর এক মার্কেট থেকে অন্য এক মার্কেটে ছুটে যাচ্ছে বিদেশী পণ্য ক্রয়ের আসায়। বিশেষ করে রাজধানীর গুলশান-২ এ অবস্থিত পিংক সিটি শপিং কমপ্লেক্সে এমনই দৃশ্য লক্ষ্য করা যায়। এখানকার বিদেশী পণ্যগুলো ভারত, চীন, সৌদি আরব, যুক্তরাষ্ট্র এবং পাকিস্তানের তৈরী। এই শপিং কমপ্লেক্সের নিচতলা ও দ্বিতীয় তলায় কসমেটিক, গার্মেন্ট পণ্য, জুতা এবং তৃতীয় তলায় জুয়েলারী পণ্য ও চতুর্থ তলায় বাচ্চাদের খেলনা পাওয়া যায়।

এখানে পরিবারের সবার জন্য সব ধরনের পোষাক-পরিচ্ছদও পাওয়া যায়। যার মধ্যে রয়েছে শিশুদের প্যান্ট, শার্ট, টি’শার্ট, জুতা, খেলনা প্রভৃতি। রয়েছে পারফিউমের দোকান। মহিলাদের জন্য রয়েছে বিভিন্ন কসমেটিক্সের দোকান। সোনা ও ডায়মন্ডের বিভিন্ন জুয়েলারীর দোকান। আরও রয়েছে শাড়ির দোকান। সাধারণ, সূতি, বা ব্র্যান্ডসহ সব ধরনের শাড়ি এখানে পাওয়া যায়। এছাড়াও নারীদের জন্য আরও রয়েছে থ্রি-পিস, সালোয়ার কামিজ এবং পায়ের জন্য হিল ও বেল্টের জুতার দোকান। তবে ছেলেদের জন্য তৈরী শার্ট, প্যান্টসহ সব ধরনের পোশাকও এখানে পাওয়া যায়।

শপিং কমপ্লেক্সটিতে ঘর সাজানো অনুষজ্ঞের মধ্যে পাওয়া যায়- বিছানার চাদর, পর্দার কাপড়সহ প্রভৃতি।

দারদাম:
বাচ্চাদের প্যান্ট (সূতি, কটন) ৬০০ টাকা থেকে ২ হাজার ৩০০ টাকা, শার্ট (সূতি, কটন) ২৫০ টাকা থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা, পার্টিড্রেস (সূতি, কটন) ৬০০ টাকা থেকে ২ হাজার টাকা, বেল্ট (সূতি, কটন) ৩০০ টাকা থেকে ৪০০ টাকা। এছাড়াও গেঞ্জি (কটন কাপড়) ২২০ টাকা, জুতা (চামড়া, বেল্ট, সেন্ডেল) ৩০০ টাকা ১ হাজার ৫০০ টাকা।

মেয়েদের কসমেটিকসের দাম আসবে ১ হাজার টাকা থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকার মধ্যে। বিভিন্ন ক্রিম ৭০০ টাকা থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা। চামড়ার ভ্যানিটি ব্যাগ ৯০০ টাকা থেকে ১ হাজার ৭০০ টাকা। আর শাড়ি, থ্রি-পিস ও কামিজের দাম আসবে ২ হাজার ৫০০ টাকা থেকে ৫ হাজার টাকার পর্যন্ত। তবে হাতের কাজ করা শাড়ির দাম পড়বে ৬ হাজার টাকা, সূতি ২ হাজার টাকা পর্যন্ত।

ছেলেদের পোষাকের দরদামের মধ্যে রয়েছে জিন্স প্যান্ট ২ হাজার ৫০০ টাকা, শার্ট (নরমাল / হাফহাতা / ফুলহাতা) ১ হাজার ৫০০ টাকা, হাফ হাতা টি’শার্ট ৬০০ টাকা, বেল্ট (চামড়া) ৫০০ টাকা, পাঞ্জাবি (বড় / শর্ট / সূতি) ৩ হাজার ২০০ টাকা, জুতা ১ হাজার ২০০ টাকা।

পিংক সিটি শপিং কমপ্লেক্সে কিছু নামি-দামি ব্রান্ডের দোকান রয়েছে। এগুলো হলো- রেমন্ড, থাই গ্যালারী, সেলিব্রেশন, রেইনবো, ইয়েলো, সোভা ফ্যাশন, গীতাঞ্জলী জুয়েলার্স, ডায়মন্ড জুয়েলারী, বেবি শপ ইত্যাদি। চাইলে এসব ব্রান্ড দোকান থেকেও আপনি আপনার ঈদ বাজার করে নিতে পারেন।



মন্তব্য চালু নেই