বিটিআরসিকে আরও স্বাধীনতা দিতে হবে

দেশের টেলিকম খাতকে গতিশীল করতে হলে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) আরও স্বাধীনতা দিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন সংস্থাটির বিদায়ী চেয়ারম্যান সুনীল কান্তি বোস।

আজ বুধবার দুপুরে গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ মন্তব্য করেন। চেয়ারম্যানের বিদায় উপলক্ষে বিটিআরসির প্রধান সভাকক্ষে এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। প্রায় সাত বছর বিটিআরসির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছেন সুনীল কান্তি বোস।

মতবিনিময় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিটিআরসি সচিব মো. সরওয়ার আলম, ভাইস চেয়ারম্যান বি. জে. আহসান হাবিব খান, কমিশনার এ টি এম মনিরুল আলম, মো. জহিরুল হক প্রমুখ।

সদ্যবিদায়ী চেয়ারম্যান বলেন, বিটিআরসির উচিত সরকারের কাছে কোনোকিছু না লুকানো। আর সরকারেরও উচিত বিটিআরসি কীভাবে চলবে তা নির্ধারণ করা। বাংলাদেশে যদি টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন না হতো তাহলে টেলিযোগাযোগের এত উন্নতি হতো না।

তিনি বলেন, অনেক প্রতিবন্ধকতার পরও ২০১২ সালের দিকে তিন থেকে সাড়ে তিন কোটি মিনিট কল ছিল। এরপর থেকে বিটিআরসির নিবিড় পরিচর্চায় তা বাড়তে থাকে। বর্তমানে দেশে আন্তর্জাতিক কল টার্মিনেশন উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে।

সুনীল বলেন, আমি সব মিলিয়ে ভালোভাবে কাজ করতে পেরেছি। কাজ করতে গেলে প্রতিবন্ধকতা থাকবেই। ওই প্রতিবন্ধকতা শুধু মন্ত্রণালয় থেকেই নয়, অনেক স্থান থেকেই আসে। সব প্রতিবন্ধকতা মোকাবেলা করে কাজ করতে হয়।

কল ড্রপ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘কল ড্রপ শুধু বাংলাদেশের সমস্যা নয়। কল ড্রপের সমস্যা বাংলাদেশের চেয়ে পার্শ্ববর্তী দেশে বেশি হচ্ছে। বিভিন্ন অপারেটরের সঙ্গে এ বিষয় নিয়ে বিটিআরসি আলোচনা করেছে। অপারেটররা কল ড্রপের ক্ষতিপূরণ দিতে সম্মত হয়েছে। কল ড্রপ একেবারে চলে যাবে না, তবে ন্যূনতম করার চেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।



মন্তব্য চালু নেই