বিজয়ের আনন্দে মেতে উঠেছে সারাদেশ

আজ ১৬ ডিসেম্বর। পাকিস্তানি শাসকদের শোষণ, নিপীড়ন আর দুঃশাসনের প্রাচীর ভেঙে ১৯৭১ সালের এই দিনে বাংলার আকাশে বিজয়ের সূর্য উদয় হয় আরো রক্তিম হয়ে। অবসান হয় পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর শোষণ, বঞ্চনা আর নির্যাতনের কালো অধ্যায়।

দেশজুড়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হচ্ছে এ মহান বিজয় দিবস। মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎস্বর্গকারী বীর সন্তানদের শ্রদ্ধা জানাতে সকাল থেকেই সারা দেশের বিভিন্ন স্মৃতিস্তম্ভে সন্মান ও ভালোবাসার ফুল অর্পণ করেছেন সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ।

শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার মো. গাউস বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু উদ্যানে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পকাতা উত্তোলন এবং সালাম গ্রহণ করেন।

এর আগে রাত ১২টা ১০ মিনিটে জেলা প্রশাসক কার্যালয় সংলগ্ন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি ফলকে মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডার মোকলেছুর রহমানের নেতৃত্বে প্রথম পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন মুক্তিযোদ্ধারা।

রাজশাহীর ভুবনমোহন পার্ক, রাজশাহী কলেজ শহীদ মিনার, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, কোর্ট শহীদ মিনারসহ বিভিন্ন স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দেন সাধারণ মানুষ।

চট্টগ্রামের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সর্বস্তরের মানুষের ঢল নামে দিনের প্রথম প্রহরেই। এসময় শহীদদের প্রতি আনুষ্ঠানিক শ্রদ্ধা জানান চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসন, সিটি করাপোরেশনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন।

রাত ১২টা ১ মিনিটে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শুরু হয় ৪৫ তম বিজয় দিবসের আনুষ্ঠানিকতা। শুরুতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন শহীদ মিনার বাস্তবায়ন পরিষদের নেতৃবৃন্দ। এরপর একে একে সিলেটের প্রশাসন ও সর্বস্তরের মানুষ হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসা ও পরম মমতায় বীর শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাতে শহীদ মিনারে ঢল নামান।

এদিকে সাতক্ষীরায় সহস্রাধিক শিশুর কণ্ঠে জাতীয় সংগীতে মুখরিত হয়েছে তালা উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল। সোনার বাংলা যুব সংগঠনের আয়োজনে ব্যক্তিক্রম এ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিজয় দিবস পালন করা হয়।

এছাড়াও ফরিদপুর, ভোলা, লক্ষ্মীপুর, মাদারীপুর, টাঙ্গাইল, মেহেরপুর, নড়াইল, নওগাঁ, পটুয়াখালী, পাবনা, নরসসিংদী, মুন্সীগঞ্জ ও সিরাজগঞ্জসহ সারাদেশে একইভাবে এ মহান দিবস উপলক্ষে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। একই সঙ্গে এসময় কুচকাওয়াজ, র্যালি ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজনও করা হয়।



মন্তব্য চালু নেই