বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির হাতেই

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য ও আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলছেন, এটি একটি নিরীহ নির্মোহ বিল। এখানে কোন চক্রান্ত নেই। বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা আগের মত রাষ্ট্রপতির হাতেই রয়েছে। সংসদের হাতে শুধু অনুমোদনের ক্ষমতা থাকবে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর কাকরাইলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু একাডেমী আয়োজিত চলমান রাজনীতি বিষয়ক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

সুরঞ্জিত বলেন, বিচারপতিদের কেউ অসুস্থ বা কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার অভিশংসন কোন প্রক্রিয়ায় করা হবে তার জন্য এই বিল। বিচারপতিদের নিয়োগ এবং সরানোর ক্ষমতা আগে যেমন রাষ্ট্রপতির হাতে ছিল এখনও সেভাবেই আছে। এখন তদন্ত কমিটি তদন্ত প্রতিবেদন সংসদে পাঠাবে। আর সংসদ শুধু তার অনুমোদন দিয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠিয়ে দেবে। অপসারণের ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির হাতেই রয়েছে।

বিচারপতিদের উপর যেন অবিচার না হয় সেই জন্য সংসদ সদস্যদের দুই তৃতীয়াংশের ভোটে অভিযুক্তদের আনিত অভিযোগ পাশ হবে। পরে সেটা রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হবে। সংসদ কোন ব্যবস্থা নেবে না। প্রমাণিত হলে শুধু অনুমতি দেবে।

তিনি বলেন, এক গ্রুপ বলে সুপ্রিম কোর্টের সাথে আলোচনা করলে কি হতো? কিন্তু আলোচনা কাদের সাথে করবো? এক গ্রুপ বিএনপি রোগে রোগাক্রান্ত হয়ে বলে ষোড়শ সংশোধনী (অভিশংসন) বিল উত্থাপনের নৈতিক অধিকার এই সংসদের নেই। তদের সঙ্গে কিসের আলোচনা? আরেক গ্রুপ কি আলোচনা করবে তা তারা নিজেরাই জানে না।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদের সমালোচনা করে তিনি বলেন, চক্রান্তের যোগ্যতা সবার থাকে না। এটা আপনারই আছে। আপনি মন্ত্রী থাকাকালীন আপনার কর্মের মাধ্যমে একজন বিচারপতির বয়স বাড়িয়ে তাকে তত্ত্বাবধায়কের প্রধান করতে চেয়েছিলেন। এগুলো আপনার মধ্যেই লুকায়িত থাকে। এটা আওয়ামী লীগের দ্বারা সম্ভব না।

আওয়ামী লীগের উপ-কমিটির সহ সম্পাদক ব্যারিস্টার জাকির আহমদের সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন, মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সম্পাদক ফয়েজ উদ্দিন মিয়া, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির মিজি, সাম্যবাদি দলের নেতা হারুণ চৌধুরী প্রমুখ।



মন্তব্য চালু নেই