বিএনপি ডাকাত-সন্ত্রাসীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে

সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীদের সঙ্গে কোনো সংলাপ হতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

সোমবার রাজধানীর ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।

বিএনপি আজ ডাকাত-সন্ত্রাসীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে এমন মন্তব্য করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘কোনো বাড়িতে ডাকাত পড়লে মানুষ ডাকাতের সাথে সংলাপে বসে না। ডাকাত তাড়ায়। ডাকাত-সন্ত্রাসীর সাথে কোনো সংলাপ হতে পারে না। যারা মানুষ পুড়িয়ে মারে, তাদের সাথে কোনো সংলাপ নয়।’

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘প্রতিটি মানুষের মৃত্যুর পর, যানবাহনে অগ্নিসংযোগের পর, বোমা বিস্ফোরণের পর খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান পুলকিত হচ্ছেন। গুলশান কার্যালয়ে ও লন্ডনে বসে মা-ছেলে এসব ঘটনা দেখছেন ও পুলকিত হচ্ছেন।’

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয় ‘সন্ত্রাসী-নাশকতার হেডকোয়ার্টারে’ পরিণত হয়েছে এমন মন্তব্য করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘খালেদা জিয়া আজ হরর ছবির নায়িকার চরিত্রে অবতীর্ণ হয়েছেন। গুলশান কার্যালয়ে বসে তিনি সন্ত্রাসী কার্যক্রমে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। সাধারণ মানুষকে আগুনে পুড়িয়ে ও পেট্রোল বোমা দিয়ে তিনি সেখানে আরাম-আয়েশে সময় কাটাচ্ছেন।’

তিনি বলেন, ‘১৩ দিনের অবরোধে সারাদেশে ৩৯ জন মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। ১৭শ’ মানুষকে আহত করা হয়েছে এবং দুই হাজারের অধিক যানবাহনে অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুর চালানো হয়েছে। এই সন্ত্রাসী, নাশকতাকারী ও বোমাবাজদের আক্রোশ শুধু মানুষের ওপরই নয়, শাক-সবজি, হাস-মুরগী ও গরু-ছাগলও এদের ক্ষোভ থেকে রক্ষা পায়নি। তারা সেই পুরনো কায়দায় ফিরে গেছে।’

দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ না নিয়ে খালেদা জিয়া ‘ভুল’ করেছিলেন দাবি করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘সেই ভুলের দায় সাধারণ মানুষের ওপর চাপিয়ে দিয়ে তিনি অযৌক্তিক অবরোধ ডেকেছেন।’

অপর প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘খালেদা জিয়ার নির্দেশে দেশে যে সন্ত্রাস বোমাবাজি ও মানুষ পুড়িয়ে মারার ঘটনা ঘটছে তার অপরাধে বহু আগেই তাকে গ্রেফতার করা উচিত ছিল। কিন্তু যেহেতু তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী তাই তার প্রতি সম্মান দেখিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়নি। কিন্তু তার এই সন্ত্রাস ও মানুষ পুড়িয়ে মারার কর্মকাণ্ড যদি অব্যাহত থাকে, দেশের জনগণ চাইলে সরকার প্রয়োজনে সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেবে।’

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. বদিউজ্জামান ভূঁইয়া ডাবলু, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন নাহার লাইলি, উপ-প্রচার সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, সদস্য সুজিত রায় নন্দী, এ কে এম এনামুল হক শামীম প্রমুখ।



মন্তব্য চালু নেই