বাসে চড়ার পয়সা না থাকায় কলেজছাত্রীর আত্মহত্যা

ভারতের মহারাষ্ট্র প্রদেশের লাটুর শহরে স্বতী পিতালি নামে ১৬ বছরের এক কিশোরী কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যা করেছে। বাসে চড়ে কলেজে যাওয়ার মত পয়সা না থাকায় এক সপ্তাহ ধরে কলেজে যেতে পারছিল না ওই একাদশ শ্রেণির ছাত্রী। আর বাসের পাস কার্ড নতুন করে করার মত ক্ষমতাও তার বাবা-মায়ের ছিল না। ফলে কলেজে না ‍গিয়ে বাড়িতেই বসে থাকতে হচ্ছিল।

চলতি মাসের ১৪ তারিখে ওই কিশোরী তার বন্ধুদের সাথে তার বাবার টমেটো ক্ষেতে যায়। পরে সেখানে থাকা কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যা করে। একটি সুইসাইড নোটে সে মহাজনের উদ্দেশ্যে লিখেছে, ‘দয়া করে আমার বাবাকে বিরক্ত করবেন না। আমার বাবা আপনার টাকা দিয়ে দেবে।’

সে আরো লিখেছে, বাসের বাস কার্ড নেওয়ার জন্য সামান্য অর্থও তার পরিবারের নেই। এতদিন ধরে ক্লাস এবং পরীক্ষা দিতে না পারায় সে খুবই কষ্ট পাচ্ছিল। আর এ কারণেই আর কোনো উপায় না পেয়ে সে আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছে।

মহারাষ্ট্রে এর আগেও গতমাসে এক কলেজ ছাত্র আত্মহত্যা করেছিল। ফসলের ক্ষতি হওয়ায় তার বাবা পড়া লেখা করার মত টাকা দিতে না পারায় সে ট্রেনে লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করে। যে দেশে নাচ গানের অনুষ্ঠানে মন্ত্রীরা লাখ লাখ টাকা বিলিয়ে দেয় সেখানে প্রতিনিয়ত সামান্য কিছু টাকার জন্য জীবন দিতে বাধ্য হচ্ছে হতদরিদ্র কৃষক এবং তাদের সন্তানদের। অল্প কিছু টাকার জন্য বই পত্র কেনা, বাসে করে স্কুলে যাওয়া আর স্কুলের মাইনে দেওয়ার মত সামর্থ্য নেই অধিকাংশ কৃষক পরিবারের। অথচ এসব নিয়ে দেশের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের কোনো মাথা ব্যাথা নেই।



মন্তব্য চালু নেই