বাল্য বিবাহ বন্ধে জাতীয় ফোরাম গঠন

বাল্য বিবাহ বন্ধে জাতীয় ফোরাম গঠন করা হয়েছে। রোববার রাজধানীর একটি হেটেলে এ ফোরামের কার্যক্রম উদ্বোধন করেন প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি।

উদ্বোধনকালে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘জেন্ডার বৈষম্য সৃষ্টিতে শিশু বিবাহ অন্যতম ভূমিকা পালন করে। সুতরাং শিশু বিবাহ প্রতিরোধে সমন্বিত উদ্যোগ দরকার। ভবিষ্যতে চাইল্ড বাজেটিংয়ের বিষয়ে চিন্তা ভাবনা করছে সরকার।’

অনুষ্ঠানে ইউনিসেফের কমিউনিকেশন এন্ড ডেভেলপমেন্ট প্রধান রাফায়েল অব্রেজন (জধভধবষ ঙনৎবমড়হ) বলেন, ‘দারিদ্রতা শিশু বিবাহের অন্যতম কারণ হলেও যথাযথ যোগাযোগের অভাব এবং তথ্য আদান প্রদানে ব্যর্থতাই শিশু বিবাহের মূল কারণ।’

ইউনিসেফ বাংলাদেশের কান্ট্রি প্রতিনিধি মি. প্যাসকেল ভেলেনভে (গৎ. চধংপধষ ঠরষষবহবাাব) বলেন, ‘সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনে রাজনৈতিক সদিচ্ছা খুবই জরুরী।’

ইউএন উইমেন এর বাংলাদেশের ডাইরেক্টর মিজ ক্রিসটিনা হান্টার (গং. ঈযৎরংঃরহধ ঐঁহঃবৎ) বলেন, ‘আইনের যথাযথ প্রয়োগ সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনে অনেকাংশেই সফল হয়।’

অনুষ্ঠানে জানানো হয়েছে, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিবকে সভাপতি এবং একই মন্ত্রণালয়ে যুগ্ম সচিব (উন্নয়ন) কে সদস্য সচিব করে বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি ও সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে এই জাতীয় ফোরাম গঠন করা হয়েছে।

এই ফোরামের কাজ হবে শিশু অধিকার ও শিশু বিবাহ সংক্রান্ত চলমান আইন, নীতি, জাজমেন্ট সমূহের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করা এবং ফোরামের আঞ্চলিক প্রতিনিধি, নীতি নির্ধারক ও বিভিন্ন স্টেইক হোল্ডারদের সঙ্গে ডায়লগ করা।

যে সমস্ত সংস্থা শিশু অধিকার, শিশু শ্রম ও শিশু বিবাহ নিয়ে কাজ করে তাদের সঙ্গে শক্তিশালী নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠা করা। ফোরামের সদস্যদের শিশু বিবাহের কুফল সম্পর্কে সচেতন করা এবং এই বিষয়ে ব্যাপক ক্যাম্পেইনের ব্যবস্থা করা।



মন্তব্য চালু নেই