বারে সুন্দরী ডান্সারদের অজানা ১০ তথ্য

অনেক সুন্দরীই এ পেশায় আসেন খুব অল্প বয়সে। কেউ কেউ ১৫-১৬ বছর বয়সেও এ পেশায় নামতে বাধ্য হয়েছেন। অনেক মানুষই তাদের অন্যরকম প্রস্তাব দেন। এদের মধ্যে কেউ কেউ আবার অজানা পথে পাড়ি জমান।

তাদের পেশাগত পরিচয় তারা বার ডান্সার। বিভিন্ন পানশালায় আগত মানুষদের সামনে নেচেগেয়ে মনোরঞ্জন করাই তাদের কাজ।

কিন্তু এদের ব্যক্তিগত জীবন কেমন? পানশালায় নাচগান ছাড়া আর কী কী করতে হয় তাদের? বিভিন্ন সময়ে সংবাদমাধ্যমে এসব বিষয়ে মুখ খুলেছেন তাদের অনেকেই।

আসুন জেনে নিই, তাদের সেইসব ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে অজানা কিছু গোপন তথ্য—

১. যেসব পানশালায় নাচগানের অনুষ্ঠানের বন্দোবস্ত রয়েছে, কমবেশি সারাদেশেই ছড়িয়ে রয়েছে। যদিও এসব বারের অনেকগুলোতেই নাচ হয় বেআইনিভাবে। এসব বারে লাইসেন্স ছাড়াই নাচগানের অনুষ্ঠান হয়।

২. সাম্প্রতিক একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, সারা দেশে প্রায় লাখখানেক মেয়ে বার ডান্সিংয়ের সাথে যুক্ত।

৩. পেশাটির নামের সঙ্গে ‘ডান্সিং’ শব্দটি জড়িত থাকলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এই মহিলাদের পানশালায় গান গাওয়ার কাজও করতে হয়।

৪. অনেকক্ষেত্রেই দেখা যায়, সিনেমায় গায়িকা বা অভিনেত্রী হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে বড় হচ্ছিলেন এসব মেয়েরা। কিন্তু ফিল্মে সুযোগের অভাবে এবং অবস্থার চাপে বাধ্য হন বার ডান্সিংয়ে।

৫. পানশালায় নাচগান করার সময়ে সেখানে খানাপিনা করতে আসা অনেক মানুষই অন্যরকম প্রস্তাব দেন এসব মেয়েকে। কেউ কেউ অসভ্য আচরণও করেন। একটু বড় মাপের পানশালায় বার ডান্সারদের জন্য তাই আলাদা দেহরক্ষীর ব্যবস্থাও করা হয়।

৬. বেশির ভাগ বার ডান্সারই নিজেদের শিল্পী বলে মনে করেন। সেই কারণে পানশালায় আগত মানুষদের সেই প্রস্তাবে চট করে সম্মত হন না।

৭. তবে অনেক বার ডান্সার অনৈতিক ব্যবসার সঙ্গেও জড়িত। বার-এ গান গাওয়ার কাজটিকে তারা তাদের পেশার পক্ষে সুবিধাজনক বলেই মনে করেন। ২০০৫ সালে মুম্বাই ডান্সিং বার নিষিদ্ধ হয়ে যাওয়ার পর অনেক বার ডান্সারই কাজ হারিয়ে বাধ্য হন সেই পেশায়।

৮. বার ডান্সাররা এক রাত্রির নাচগানের জন্য ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত রোজগার করেন।

৯. এসব মেয়ে অনেকেই উচ্চশিক্ষিত। অনেকে বিবাহিতও। বাড়িতে তাদের স্বামী-সন্তান রয়েছে।

১০. অনেক মেয়েই এ পেশায় আসেন খুব অল্প বয়সে। কেউ কেউ ১৫-১৬ বছর বয়সেও এ পেশায় আসতে বাধ্য হন।



মন্তব্য চালু নেই