বরকে নিয়ে সমালোচনার জবাব দিলেন বিপাশা

বলিউড অভিনেত্রী বিপাশা বসু। এর আগে জন আব্রাহাম, দিনো মারিয়ার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক থাকলেও শেষ পর্যন্ত তা পরিণতি পায়নি। গত ৩০ এপ্রিল অভিনেতা করণ সিং গ্রোভারের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন তিনি।

যদিও করণের জন্য এই অভিজ্ঞতা নতুন নয়। তিনি এর আগে দুইবার বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন। বয়সেও বিপাশার চেয়ে ছোট। এ নিয়ে অনেকেই তীর্যক মন্তব্য করছেন। গুঞ্জন উঠেছে তারপরও কেন স্বামী হিসেবে করণকে মনে ধরল বিপাশার?

সম্প্রতি ভারতীয় একটি সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সব গুঞ্জনের জবাব দিয়েছেন বিপাশা বসু। তিনি বলেন, ‘করণের মতো কেউ আমাকে ভালোবাসেনি এবং সম্মানও করেনি। অন্যরা বিয়ে নিয়ে যেভাবে ভাবে আমি তেমন ভাবি না। আমার নিজস্ব কিছু চাওয়া-পাওয়া আছে এবং সেভাবেই আমি সিদ্ধান্ত নেই। আমি বিশ্বাস করি না, আপনি কাউকে তার ভেঙে যাওয়া সম্পর্ক দিয়ে বিচার করতে পারেন। আমারও সম্পর্ক ছিল। আমার দুবার বিয়েও হতে পারত। কিন্তু আমার সম্পর্কগুলো অতটা গভীর ছিল না। পাশাপাশি এগুলো আইনানুগ ছিল না, এটুকুই যা পার্থক্য। এক টুকরো কাগজের ওপর ভিত্তি করে আপনি কাউকে দোষারোপ করতে পারেন না।’

তিনি আরো বলেন, ‘মানুষ আমাকে নিয়ে কথা বললে আমি বিরক্ত হই না। অনেকেই বলছেন, এটি করণের তৃতীয় বিয়ে। এ বিয়ে বেশিদিন টিকবে না। আমি সবাইকে বলি, অন্যের সম্পর্কে জানতে হলে আপনাকে তার মতো করে ভাবতে হবে। পুরো পৃথিবীটা নৈরাশ্যবাদীতে ভরা। তবে আমি আমার জীবনে ঘটে যাওয়া কোনো ঘটনার জন্য নিরাশ হইনি। আমি সব সময়ই আশাবাদীদের দলে। করণও আমার মতো করেই ভাবে।’

করণ কীভাবে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিল? এমন প্রশ্নের জবাবে বিপাশা বলেন, ‘‘আমি বিয়ের বিষয়টি বিশ্বাস করি, কিন্তু কখনো ভাবিনি বিয়ে করব। সুতরাং করণ যখন আমাকে প্রস্তাব করল আমি বলেছিলাম, ‘তুমি এসব কি বলছ?”

এ সাক্ষাৎকারের সময় করণ পাশেই ছিলেন। নববধূর মুখ থেকে কথা কেড়ে নিয়ে তিনি বলেন, ‘সেদিন ছিল ৩১ ডিসেম্বর। আকাশে আতশবাজির খেলা চলছিল। আমি পকেটে একটি আংটি নিয়ে মনে মনে বলি, কিছু বলার জন্য এটিই সঠিক সময়। যখন সে আতশবাজির খেলা ক্যামেরাবন্দি করছিল আমি তাকে আংটি দিয়ে তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেই।’

বিয়ের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হচ্ছে কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে বিপাশা বলেন, ‘আমাদের বিয়ে হয়েছে এক মাসও হয়নি। আমি মনে করি, এত জলদি পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া শুরুর কথা নয়। বিয়ের দুই মাস আগে থেকেই আমি ব্যস্ত ছিলাম। কারণ আমার বিয়ের ইভেন্ট ম্যানেজার আমি নিজেই ছিলাম। আমি কোনো ভয় পাইনি বরং বিয়ের ওই দুই দিন ছিল আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ সময়।’



মন্তব্য চালু নেই