বান্দরবানের লামায় এক উপজাতির সৃজিত রাবার বাগান আগুনে পুড়ে ছাই

বান্দরবানের লামায় সীতার কুম এলাকায় অংক্যচিং মার্মা নামের এক উপজাতির ১২ বছর বয়সী সৃজিত রাবার বাগানে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছে প্রতিপক্ষ। গত ১১মার্চ দুপুর ১ঘটিকার সময় চৈত্রের তীব্র তাপদাহে বাগানের শূকনো পাতায় আগুন ধরিয়ে দিলে মূহুর্তের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়লে রাবার বাগানটি পুড়ে যায়। এ ঘটনায় বাগান মালিক বাদী হয়ে ১৩মার্চ ২জনকে আসামী করে লামা থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করে।

অভিযোগে জানাগেছে, উপজেলার লামা বাজারের বাসিন্দা অংক্যচিং মার্মা প্রকাশ কালা মার্মা লামা বাজারের স্বর্ণকার ব্যবসায়ী। ব্যবসার উপার্জিত অর্থ দিয়ে ধীরে ধীরে উপজেলার ফাঁসিয়াখালী এলাকার মাতামুহুরী নদীর তীরে সীতার পারি এলাকায় পাহাড়ী জায়গা ক্রয় করে রাবার ও বনজ বাগান করতে থাকে। বাগান প্রেমিক অংক্যচিং মার্মার ১২ বছর ধরে গড়ে তোলা তার সৃজিত বাগানে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে লামা পৌরসভা এলাকার চাম্পাতলী ওয়ার্ডের বাসিন্দা মৃত কবির আহম্মদের ছেলে মোঃ শাহ আলম(৫০) ও মৃত অংজাইন প্রু মার্মার ছেলে উমংসিং মার্মা(৪৬) শূকনো পাতা ও খড়ে আগুন ধরিয়ে দিলে আগুন বাগানের সর্বত্রই ছড়িয়ে পড়লে রাবার বাগানটি পুড়ে যায়।

এ সময় আগুন নিভাতে গিয়ে বাগানের নিয়োজিত মংছিংহ্লা নামের এক শ্রমিক আহত হয়। বাগানের ৩ হাজার ৫ শতটি রাবার গাছ ও ১ হাজার বেলজিয়াম গাছ পূড়ে যায়। এতে বাগান মালিক অংক্যাচিং মার্মার ৩১ লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধিত হয়েছে বলে অভিযোগে জানায়।

মামলার বাদী অংক্যাচিং মার্মা বলেন, আমার রাবার বাগানটি জ্বালিয়ে দিয়ে আমাকে নিঃস্ব করে দিয়েছে। ১২ বছর ধরে আমার কায়িক পরিশ্রমের অর্জন ও স্বপ্ন মুহুর্তের মধ্যে ধ্বংস করে দিয়েছে । আসামীরা পূর্বেও অনেকবার আমার বাগান দখল করতে ব্যার্থ হওয়ায় আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্ত অংক্যচিং মার্মা জানান।

এছাড়া অংক্যাচিং মার্মার বিক্রিত রাবার বাগানের পাশে সাড়ে ৪একরের একটি প্রাপ্ত বয়স্ক সেগুন বাগানের কর্তনকৃত গাছের বিভিন্ন সাইজের গাছের টুকরা কেটে মজুদ করে যা পুড়ে যায়। এতে ক্রেতা আব্দুর রহিমের লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি সাধিত হয়েছে বলে জানা যায়।

এব্যাপারে লামা থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা বাগান পুড়ে যাওয়ার ঘটনা সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অংক্যচিং মার্মার ১নং আসামী মোঃ শাহ আলম লামা থানার অন্য আরেকটির মামলার ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামী।



মন্তব্য চালু নেই