ওষুধের দোকানে সরকারি ইনজেকশন!

রাজশাহী: রাজশাহী মহানগরীর লক্ষ্মীপুর মোড়ের মেসার্স নাজমুল ড্রাগস নামে একটি দোকান থেকে সরকারি ৯০ পিস ইনজেকশন উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার বিকাল ৪টার দিকে জেলা প্রশাসকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আশরাফ আহম্মেদ রাসেলের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হলে ওই ওষুধের দোকান থেকে সরকারি ইনজেকশনগুলো উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় বিক্রেতা নাজমা বেগমকে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদ- প্রদান করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

ভ্রাম্যমাণ আদালতে সহযোগিতা করেন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট নিলুফা ইয়াসমিন, ওষুধ প্রশাসনের সহকারী পরিচালক মির্জা মোহাম্মদ আনোয়ারুল বাসেদ ও আরএমপি পুলিশের একটি টিম।

রাজশাহী মহানগরীতে সরকারি হাসপাতালে ব্যবহৃত ওষুধগুলো এক শ্রেণির অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মচারী কম দামে ওষুধের দোকানগুলোতে বিক্রি করে থাকে। পরে সেগুলো সুযোগ বুঝে রোগীদের কাছে বিক্রি করা হয়।

এতে করে দরিদ্র রোগীরা এ সকল সরকারী সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয় এবং ওই সব সরকারি ওষুধ বাইরে থেকে টাকা দিয়ে কিনতে হয়।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আশরাফ আহম্মেদ রাসেল জানান, শনিবার লক্ষ্মীপুর চৌধুরী টাওয়ারের নিচতলায় মেসার্স নাজমুল ড্রাগস নামে ২৯ নম্বর ওষুধের নম্বর দোকানে অভিযান চালানো হয়।

এ সময় দোকানটি তল্লাশী করে ৯০ পিস হাইসোসিল বিউটাইল ব্রমাইট নামে ৯০টি ব্যাথানাশক সরকারি ইনজেকশন পাওয়া যায়। মালিক আব্দুল কুদ্দুস মিয়া (৫০) ও তার স্ত্রী নাজমা বেগম (৪২) দোকানটি পরিচালনা করে থাকেন।

এ সময় আব্দুল কুদ্দুস মিয়া উপস্থিত না হওয়ায় তার স্ত্রী নাজমা বেগমকে ড্রাগ এ্যাক্ট ১৯৪০ অনুযায়ী ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদ- প্রদান করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। আসামীকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই