বানভাসী মানুষের কষ্ট: “আমাগো কিছু দেইনি বাবা, খালি সকালে একটা টেবলেট দিসে”
নুরুল আলম ডাকুয়া, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি: সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের চরাঞ্চেেলর এবারের ভয়াবহ বন্যায় বানভাসি মানুষের আর্তনাদ অনেকেই খেয়ে না খেয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে।
সরেজমিনে দেখা যায় সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের গেন্দুরাম গ্রামের চারদিকে শুধু পানি আর পানি। অনেক বাড়ি ঘরে এখনো কোমর পানি। গেন্দুরাম গ্রামের গৃহবধু সালেহা বেগম স্বামী আক্কাস আলীর বাড়িতে এখনো কোমর পানি এবং বাড়ির চতুরদিকে শুধু পানি আর পানি।
সালেহা বেগমের সংসার চলে তাঁর স্বামীর অন্যের জমিতে শ্রম বিক্রি করার মাধ্যমে। কিন্তু বিগত কয়েকদিনের বর্ষন উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট এবারের বন্যায় কর্মহীন হয়ে পরে তার স্বামী। ফলে ৬ সদস্যের সংসার দেখা দেয় খাদ্য অভাব। সরকারী/বেসরকারী ভাবে তাদের কাছে এখনো পৌছায়নি কোন পর্যাপ্ত ত্রান সামগ্রী।
গেন্দুরাম গ্রামে সাংবাদিক নুরুল আলম ডাকুয়া ও সাংবাদিক নুরে শাহী আলম (লাবলু) সরেজমিনে বানভাসি মানুষের হালচিত্র দেখার জন্য নৌকা যোগে উপস্থিত হলে মৃত কাজিম উদ্দিন স্ত্রী আকলিমা বেওয়া (৯০) বলেন “হামাক কিছু দেইনি বাবা, খালি সকালে একটা টেবলেট দিসে” হামরা কি খায়া বাঁচি।
ঐ গ্রামে ৪০/৫০টি পরিবার পানি বন্দি অবস্থায় তাকলেও যেন তাদের দেখার কেউ নেই। উপজেলার হরিপুর, কাপাশিয়া, তারাপুর, শ্রীপুর, চন্ডিপুর ও কঞ্চিবাড়ি ইউনিয়নের বানভাসি অনেক পরিবারেই দেখা দিয়েছে খাদ্য অভাব।
মন্তব্য চালু নেই