বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো আহসানের দুদকে যোগদান
হাইকোর্টের আদেশে চাকরি ফিরে পেলেন বাধ্যতামূলক অবসরে যাওয়া দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আলোচিত-সমালোচিত উপপরিচালক মো. আহসান আলী।
বুধবার সুপিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত ডিভিশন বেঞ্চের দেওয়া রায়ে বাধ্যতামূলক চাকরি হতে অবসর আদেশ ‘অবৈধ’, ‘অকার্য্কর’ ও ‘বেআইনি’ ঘোষণা করা হয়।
যার পরিপ্রেক্ষিতে ওই উপপরিচালক বিকেলে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে যোগদান করেন। স্বপদে যোগদান করে তিনি বলেন, কমিশন অবৈধভাবে তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠায়। মহামান্য হাইকোর্টের মাধ্যমে ন্যায়বিচার পেয়েছেন।
যদিও এ বিষয়ে দুদকের চেয়ারম্যান বদিউজ্জামান কিছু জানেন না বলে মোবাইল ফোনে জানান।
দুদকে দাখিলকৃত চাকরিতে যোগদান করা পত্র সূত্রে জানা যায়, আবেদনপত্রে সূত্র দেওয়া হয়েছে- মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট নীতি শাখা, সিনিয়র সহকারী সচিব মোহাম্মদ কামরুল হাসান সাক্ষরিত প্রজ্ঞাপন নম্বর- ০৪.০০.০০০০.৫২১.০১৫.০২৭.১২.৪৪৭। তারিখ-০৮/০৫/২০১৪।
যোগদানপত্রে বলা হয়, ‘সূত্রস্থ প্রজ্ঞাপনের আদেশে আমাকে চাকরি হতে বাধ্যতামূলক অবসর প্রদান করা হয়। আমি উক্ত আদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে মহামান্য হাইকোর্টে রিট পিটিশন নং-৪৮৪৬/১৪ দায়ের করি। মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত একটি ডিভিশন বেঞ্চ উক্ত মামলা শুনানি অন্তে আমাকে বাধ্যতামূলক চাকরি হতে অবসর আদেশ অবৈধ, অকার্য্কর ও বে-আইনি হিসেবে ঘোষণা করে রুল এ্যাবসল্যুট করেন। তাই আমি উপপরিচালক হিসেবে আজ (২০/০৫/২০১৫) অপরাহেৃ যোগদান করলাম।’
প্রাতিষ্ঠানিক শর্ত ভঙ্গের অভিযোগে ২০১৪ সালের ৮ মে দুদকের উপ-পরিচালক আহসান আলীকে বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া হয়।
আলোচিত ওই কর্মকর্তা বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদসহ বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক। তার বিরুদ্ধে রাজধানীর নিকুঞ্জে একটি তিনতলা বিলাসবহুল বাড়ি ও খিলগাঁওয়ে একটি বাড়ি এবং নামে-বেনামে বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে।
মন্তব্য চালু নেই