বাণিজ্য মেলার মেয়াদ বাড়ানো হবে না

গত ১ জানুয়ারি শুরু মাসব্যাপী ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার মেয়াদ বাড়ানো হবে না বলে জানিয়েছে মেলার আয়োজক রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)।

গতবছর রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণে স্টল-প্যাভিলিয়ন মালিকদের দাবির প্রেক্ষিতে মেলার মেয়াদ নির্ধারিত সময়ের পর ১০ দিন বাড়ানো হয়েছিল।

ইপিবির উপ পরিচালক (অর্থ) ও মেলার আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব রেজাউল করিম বলেন, ‘এবার মানুষ স্বচ্ছন্দে মেলায় আসতে পেরেছে। এজন্য খুশি স্টল ও প্যাভিলিয়ন মালিকরা। অবশ্য কারো কারো লক্ষ্যমাত্রা পূরণ নাও হতে পারে।’

এদিকে মেলায় স্টল ও প্যাভিলিয়ন মালিকেরা ভিন্ন মত পোষণ করেছেন। কেউ কেউ বলেছেন, প্রত্যাশার তুলনায় বিক্রি কম, মেয়াদ বাড়ানো হলে ভালো হতো। আবার কেউ বলছেন, মেয়াদ বাড়ানো হলে প্রত্যেক স্টল ও প্যাভিলিয়ন মালিকের অতিরিক্ত খরচ রয়েছে। এই খরচ কাটিয়ে লাভবান হওয়া কষ্টসাধ্য ব্যাপার।

ওয়ালটন প্যাভিলিয়নের ইনচার্জ আক্তারুজ্জামান অপু বলেন, ‘মেলার মেয়াদ বাড়ানোর জন্য আমাদের কোনো দাবি নেই। মেলা মানেই লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী বিক্রি নয়। মেলার মাধ্যমে নিজেদের পণ্য সম্পর্কে দর্শণার্থীদের জানানোই মূল উদ্দেশ্য।’

তিনি বলেন, ‘এটা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা, এখানে পৃথিবীর অনেক দেশ থেকে মানুষ আসছেন। আমাদের দেশিয় পণ্য সম্পর্কে জেনে যাচ্ছেন, এটাই তো বড় কিছু।’

বিসমিল্লাহ ফ্যাশনের বিক্রেতা মো. আকাশ জানান, মেলার শুরু থেকে পণ্য কম মূল্যে বিক্রি হচ্ছে। শেষ মুহূর্তে এসে প্রতিটি পণ্যে ১০০ থেকে ২০০ টাকা ছাড় দেওয়া হয়েছে। তিন সেট প্রিন্টের থ্রি পিস বিক্রি হচ্ছে ৯৯৯ টাকায়। মেলা শুরুর সময় এর দাম ছিল এক হাজার ২০০ টাকা। সাধারণ থ্রি-পিস, লোন থ্রি পিস, আনস্টিচ থ্রি পিসসহ দেশি-বিদেশি বিভিন্ন থ্রি পিস পাওয়া যাচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘মেলার শুরুতে ক্রেতা আকর্ষণের জন্য আমাদের একটা ছাড় ছিল। কিন্তু অন্যান্য বছর মেলার শেষের দিকে ক্রেতা বাড়ে। এবার তার উল্টো চিত্র। মেলা শেষের দিকে হলেও ক্রেতার পরিমাণ কমছে। তাই ছাড়ের পরও ছাড় দিচ্ছি। প্রত্যাশা ছিল মেলার মেয়াদ বাড়ালে বিক্রি বাড়বে। কিন্তু প্রত্যাশার অর্ধেকও বিক্রি নেই।’

এদিকে আগামী রোববার ৩১ জানুয়ারি পর্দা নামবে মাসব্যাপী এই মেলার। মেলার ২৭তম দিনে দর্শণার্থীদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।



মন্তব্য চালু নেই