বাড্ডায় মার্ডার : শামসুর পরিবারের মামলা নেয়নি পুলিশ

রাজধানীর মধ্যবাড্ডায় ট্রিপল মার্ডারের ঘটনায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা শামসু মোল্লার পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করতে গেলেও তা নেয়নি পুলিশ। পরিবারের দাবি, আসামির নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করতে চাওয়ায় মামলা নেয়নি পুলিশ। বরং তাদের দীর্ঘক্ষণ বসিয়ে রেখে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

শামসু মোল্লার বোনের স্বামী মো. পলাশ অভিযোগ করে বলেন, ‘রাত ৮টা থেকে ২টা পর্যন্ত থানায় মামলা করার জন্য বসে ছিলাম। বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে আমাদের মামলা নেওয়া হয়নি।’

তবে পুলিশ বলছে, ট্রিপল মার্ডারের ঘটনায় গামার বাবা মতিউর রহমান বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। তাই ওই ঘটনায় একটি মামলা হলে আর কোনো মামলার প্রয়োজন নেই। ওই মামলায় হত্যার সব আসামিকে গ্রেফতার করা সম্ভব হবে।

শামসু মোল্লার পরিবারের এক সদস্য বলেন, ‘আমরা মামলার আবেদনে যে চারজনের নাম উল্লেখ করেছি, তারা এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী। তাদেরকে সবাই সন্ত্রাসী হিসেবে চেনেন। এরা বাউল সুমনের সহযোগী ছিল। এদের ব্যবহার করেই বাউল সুমন এলাকায় বিভিন্ন অপকর্ম করত।’

আবেদনে যাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এরা হলো- সোহেল রানা, জুনায়েদ হোসেন জুয়েল, রনি ও বিজয়। তবে সোহেল ও ‍জুয়েল বাড্ডা থানা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদ্ক পরিচয়ে এলাকায় ব্যানার লাগিয়েছে। কিন্তু নিহতের পরিবার দাবি করছে, ছাত্রলীগে তাদের কোনো পদ নেয়। তারা সবাই চিহ্নিত সন্ত্রাসী।

ঘটনার পরদিন একটি পরিবারের পক্ষ থেকে হত্যাকাণ্ডে জড়িত সাতজনের নাম বলা হয়েছিল। ওই সাতজনের মধ্যে আবেদনে উল্লেখ করা চারজনও রয়েছে।

সাতজনের বিষয়ে বাড্ডা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এম এ জলিল বলেন, ‘পরিবারের পক্ষ থেকে যদি তাদের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন, আমরা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। এ ছাড়া তাদের নামের মধ্যে আমাদেরও কয়েকজন সন্দেহভাজন রয়েছে। সবাইকে আমরা নজরদারিতে রেখেছি। আশা করছি, খুব দ্রুত অপরাধীদের গ্রেফতার করতে পারব।’

মামলার বিষয়ে গুলশান বিভাগের উপকমিশনার মোস্তাক আহমদ বলেন, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মাহবুবুর রহমান গামার বাবা মতিউর রহমান বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নম্বর-১৬। মামলায় ১০-১২ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে মধ্যবাড্ডার আদর্শনগর পানির পাম্পে বসে আলোচনার সময় গুলি ছোড়ে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় গামা ও তার সঙ্গে থাকা ৬ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা শামসু মোল্লা, স্থানীয় ক্লিনিকের ম্যানেজার ফিরোজ আহমেদ মানিক মারা যান। এতে আহত হন যুবলীগ নেতা আবদুস সালাম। তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।



মন্তব্য চালু নেই