বাড্ডায় গুলি : আরো এক নেতার মৃত্যু

রাজধানীর বাড্ডায় দুর্বৃত্তের গুলিতে আহত স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মাহবুবুর রহমান গামা মারা গেছেন।

শুক্রবার সকালে গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। গামা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের ঢাকা মহানগর উত্তরের সহ সাহিত্যবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।
বাড্ডা থানার ওসি আব্দুল জলিল এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে আদর্শনগর পানির পাম্পের কাছে সরকার সমর্থক কয়েকজনের উপর গুলি চালানো হয়। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঢাকার ৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক শামসু মোল্লা (৫৩) ও আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা মানিক (৪৫) রাতেই মারা যান। এসময় গামা ও স্থানীয় যুগলীগ নেতা আব্দুস সালাম গুলিবিদ্ধ হন। তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আজ সকালে চিকিবৎসাধীন অবস্থায় গামার মৃত্যু হয়। গুলিবিদ্ধ আব্দুস সালাম ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গুলশান-বাড্ডা লিংক রোডে কমার্স কলেজের কাছে ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের কার্যালয়ের কাছে ওই পানির পাম্প ঘরের সামনে ক্ষমতাসীন দলের নেতারা নিয়মিত আড্ডা দেন। গতকাল আড্ডারত অবস্থায় তাদের ওপর হামলা করা হয়।

ওসি আব্দুল জলিল জানান, ১৫ আগস্ট উপলক্ষে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের ব্যাপক প্রোগ্রাম হাতে নেওয়া হয়েছে। ওই সব প্রোগ্রামে বাড্ডা থানা আওয়ামী লীগ বড় ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। সেই প্রস্তুতি নেওয়ার সময় বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে আওয়ামী লীগ নেতাদের ওপর এ হামলার ঘটনা ঘটে।

তিনি আরো জানান, দুর্বৃত্তদের ছোঁড়া গুলিতে গুলিবিদ্ধদের প্রথমে গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই হাসপাতালে শামসু মোল্লা ও মানিক নামের দুজন মারা যান।

গুলশান জোনের সহকারী কমিশনার রফিকুল ইসলাম জানান, রাত সাড়ে ১০টার দিকে গুলশান-বাড্ডা লিংক রোডে কমার্স কলেজের কাছে দুর্বৃত্তরা এই হামলা চালায়। খবর শুনেই পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। প্রাথমিক সুরতহাল রিপোর্ট শেষে লাশগুলো ময়নাতদন্তের জন্য দুইজনের লাশ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই