বাজেটে কালো টাকা বিনিয়োগের সুযোগ থাকছে : অর্থমন্ত্রী
২০১৫-১৬ অর্থবছরে কালো টাকা বিনিয়োগের সুযোগ থাকছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় সোমবার রাতে সংসদীয় স্থায়ী কমিটির প্রধানদের সঙ্গে প্রাত-বাজেট আলোচনার পর সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়েছেন তিনি।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমি পছন্দ করি না করলেও সংসদ সদস্যরা কালো টাকা (অপ্রদর্শিত অর্থ) বিনিয়োগের সুযোগ বহাল রাখার পরামর্শ দিয়েছেন। এখন আইনে যে রকম বিধান আছে সে রকমই রাখতে চাই।’
প্রসঙ্গত, চলতি অর্থবছরে নির্ধারিত করের অতিরিক্ত ১০ শতাংশ কর দিতে কালো টাকা বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে।
গাড়ি-বাড়ি করের আওতায় আসছে: অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশে ইন্সটিটিউশনের (ব্যবসা প্রতিষ্ঠান) প্রচুর গাড়ি আছে। এগুলোকে আয়করের আওতায় আনা হবে। এবার আমরা চেষ্টা করছি এনবিআর থেকে জরিপের মাধ্যমে যেসব বাড়ির তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে সে সব বাড়ির ওপর ট্যাক্স লাগিয়ে দেওয়া হবে।’ তবে কী হারে ট্যাক্স আরোপ করা হবে সে বিষয়ে কিছুই জানাননি তিনি।
বর্তমানে ব্যক্তিগত গাড়ির রেজিস্ট্রেশন ও নবায়নকালে সিসিভেদে অগ্রিম আয়কর দিতে হয়। একাধিক গাড়ির ক্ষেত্রে নির্ধারিত করের অতিরিক্ত ৫০ শতাংশ দিতে হয়।
কর্পোরেট কর: অর্থমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে কর্পোরেট ট্যাক্সের অনেকগুলো স্তর রয়েছে। আগামী বাজেটে এগুলো রেশনালাইজড করা হবে। এছাড়া সিম ট্যাক্স উঠিয়ে দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমানে মাত্র ১১ লাখ লোক ট্যাক্স দেয়। কিন্তু ঢাকায় এর দ্বিগুণ ট্যাক্সপেয়ার উপযুক্ত মানুষ রয়েছে বলে সংসদ সদস্যরা জানিয়েছেন। এনবিআর থেকে পরিচালিত জরিপে যাদের নাম এসেছে এবার তাদের প্রত্যেকের ওপর ট্যাক্স আরোপ করা হবে।’
নতুন ভ্যাট আইন সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয়েছে ভ্যাট আইন জটিল হলেও ভাল। সঠিকভাবে হিসাব রাখতে পারলে ভ্যাটের বোঝা কমে যাবে।’
বিনিয়োগের ক্ষেত্রে জমির অপ্রতুলতা স্বীকার করে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘জমির অভাব ঠিকই রয়েছে। তবে যেসব এলাকায় জনসংখ্যার ঘনত্ব কম যেমন রংপুর, দিনাজপুরে জমি দেওয়া হবে।
কাবিটা- কাবিখা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কাজের বিনিময়ে খাদ্য (কাবিখা) ও কাজের বিনিময়ে টাকা (কাবিটা) প্রকল্পে অনেক লুটপাট হয়। এগুলো মানুষের চরিত্র নষ্ট করে। তাই আগামী বছর থেকে এগুলো বাতিল করা হবে।
আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন এবিএম তাজুল ইসলাম, মুন্নুজান সুফিয়ান, দীপু মনি, রহমতউল্লাহ, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত প্রমুখ।
মন্তব্য চালু নেই