বাংলামেইলের তিন সাংবাদিকের রিমান্ড আবেদন নাকচ
ভুয়া সংবাদ প্রকাশের অভিযোগে আটক অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলামেইলের তিন সাংবাদিককে রিমান্ডে পায়নি পুলিশ। তাদেরকে সাত দিন হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে আবেদন করলেও তা নাকচ করে আদালত।
আজ মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক গোলাম নবীর আদালতে এই রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ। আর তিন সাংবাদিকের আইনজীবীরা করেন জামিনের আবেদন। শুনানি শেষে দুই আবেদনই নাকচ করে তিন সাংবাদিককে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।
রাষ্টপক্ষে রিমান্ড আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই জালাল আহমেদ। তিনি বলেন, ‘বাংলামেইলের সংবাদ ছিল উদ্দেশ্যমূলক। এ ধরনের সংবাদ প্রকাশ করে তারা সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে চেয়েছিল। তাদের আরও কোনো উদ্দেশ্য ছিল কি না, যা জানতে আসামিদের রিমান্ডে নেয়া দরকার।
শুনানিতে আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী প্রিয়লাল সাহা, মবিনুল ইনসলাম, আবুল কালাম আজাদ, মাহবুবুল আলম, প্রকাশ রঞ্জন বিশ্বাস প্রমুখ।তারা বলেন, বর্তমানে অনেক ‘আন্ডারগ্রাউন্ড’ অনলাইন পত্রিকা রয়েছে। তারা নানা ধরনের গুজব ছড়ায়। বাংলামেইল এমন একটি পত্রিকার বরাত দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করে মূলত সরকারকে সর্তক করতে চেয়েছিল। তাদের উদ্দেশ্য ছিল বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নজরে আনা। একজন আইনজীবী আদালতে বলেন, ‘এটা জাস্ট ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। যে কারণে মামলা হয়েছে’
প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে নিয়ে ছড়ানো গুজব নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর গত রবিবার রাতে বাংলামেইলের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক শাহাদাত উল্যা খান, নির্বাহী সম্পাদক মাকসুদুল হায়দার চৌধুরী ও সহ-সম্পাদক প্রান্ত পলাশকে আটক করে র্যাব। পরে এই তিনজনকে পুলিশে দেয় র্যাব।
আর র্যাব এই তিন সাংবাদিক ও বাংলামেইলের মালিক সাবেক সংসদ সদস্য ফজলুল আজিমের বিরুদ্ধে মামলা করে। পাশাপাশি অনলাইন নিউজ পোর্টালটির নিবন্ধন বাতিল করা হয়। আদালতে ফজলুল আজিমকে পলাতক দেখিয়েছে পুলিশ।
মন্তব্য চালু নেই