বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ টক অব দ্য ওয়ার্ল্ড

উত্তেজনার তুঙ্গে থেকে ১১তম বিশ্বকাপের যাত্রা শুরু। বিশ্বকাপের দ্বিতীয় দিন ময়দানি যুদ্ধে মুখোমুখি হয় ভারত ও পাকিস্তান। যে লড়াই ব্যাট-বলের যুদ্ধ থেকে শুরু হয়, শেষ হয় রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে। কিন্তু উত্তেজনা ছড়িয়ে যায় গোটা বিশ্বে। ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ মানেই বাড়তি উত্তেজনা। প্রতিদ্বন্দ্বিতার বারুদে ঠাসা ম্যাচের প্রতিটি মুহূর্ত।

আর এই মুহূর্তে ভারত-পাকিস্তানের লড়াইকে ছাড়িয়ে গেছে বাংলাদেশ ও ভারতের ম্যাচ। এশিয়া মহাদেশের ক্রিকেট বৈরিতায় সবচেয়ে রোমাঞ্চকর ম্যাচটির নাম এখন ‘বাংলাদেশ-ভারত’ কোয়ার্টার ফাইনাল। এককথায় টক অব দ্য ওয়ার্ল্ড।

আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপের দ্বিতীয় কোয়ার্টার ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে আগামীকাল বৃহস্পতিবার অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে মাঠে নামবে টাইগাররা। ধারণা করা হচ্ছে, মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে লক্ষাধিক দর্শকের সমাগম হবে। ক্রিকেটের সবচেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ম্যাচটি ঘিরে মাঠের ভেতরে দুই দলের সমর্থকদের মধ্যে থাকবে আবেগ, উত্তেজনা। আইসিসির ওয়েবসাইট সূত্রে জানা গেছে, ভারত ও বাংলাদেশের ম্যাচটি বিশ্বের ১৩৫টি টেলিভিশন চ্যানেলে দেখানো হবে।

দিন পাল্টে গেছে অনেক আগেই। বাংলাদেশ এখন আর কোনো আন্ডারডগ নয়। ইংল্যান্ডকে বিদায় করে দেওয়া বাংলাদেশকে নিয়ে জাতীয়তাবাদের উসকানি দিচ্ছে ভারতীয় সমর্থকরা। দুই দেশের আবেগের যুদ্ধ এখন প্রতিশোধের যুদ্ধতে পরিণত হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদানকে সব সময় শ্রদ্ধা করে বাংলাদেশ। এমনকি মুক্তিযুদ্ধের সময় অবদান রাখার জন্য ভারতীয় বন্ধুরাও বাংলাদেশ থেকে রাষ্ট্রীয় সম্মান পেয়েছেন। কিন্তু চলতি বিশ্বকাপে টাইগারদের নিয়ে ভারতীয় প্রাক্তন ক্রিকেটার, চলচ্চিত্র অভিনেতা ও সমর্থকদের জাতীয়তাবাদী উসকানি ও মানহানিকর মন্তব্য ক্রিকেটপ্রেমীদের কষ্টই দিয়েছে। আর সেই কষ্টের জবাব দেওয়ার অপেক্ষয় মাশরাফি অ্যান্ড কোং।

বাংলাদেশ ও ভারতের জাতীয় খেলা ক্রিকেট না হলেও দুই দেশকে বলা হয় ক্রিকেটপাগল জাতি। এখানে ক্রিকেট খেলাও একটা উৎসবের মতো। পরিবার-পরিজন নিয়ে আনন্দে মাতার একটি দিন। ধারণা করা হচ্ছে, দুই দেশের প্রায় ১৫৪ কোটি দর্শক স্টেডিয়ামে কিংবা টিভি সেটের সামনে বসে ম্যাচটিকে উপভোগ করবে। যা হার মানাবে ভারত-পাকিস্তানের লড়াইকেও।

মার্চ মাস, মহান মুক্তিযুদ্ধের মাস। মুক্তির স্লোগানে ১৯৭১ সালে জেগে উঠেছিল বাংলাদেশ। এবার হাজার মাইল দূরে ক্রিকেটের আরেক মোড়লের বিপক্ষেও জেগে উঠবে বাংলাদেশ, এমনটিই প্রত্যাশা করছে লাখো বাঙালি। লাখো বাংলা ভাষাভাষী। অতীত রেকর্ড বাংলাদেশকে প্রেরণা জোগাচ্ছে। বড় কোনো আসরে স্বাধীনতার মাসে দুবার মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ ও ভারত। দুবারই জয় বাংলাদেশের। সেই প্রেরণা থেকে ১২৮ কোটি ভারতীয়কে হারিয়ে ১৬ কোটি বাঙালির জয় হবেই হবে!



মন্তব্য চালু নেই