বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে যুক্ত হলো আরো দুটি যুদ্ধজাহাজ

মাত্র দশ মাসের মধ্যে নৌবাহিনীর জন্য দুইটি ল্যান্ডিং ক্রাফট ট্যাংক (এলসিটি) যুদ্ধজাহাজ তৈরীর কাজ সম্পন্ন করলো বাংলাদেশ নৌবাহিনী পরিচালিত নারায়ণগঞ্জ ডকইয়ার্ড এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস লিঃ।

মঙ্গলবার (১৮-১১-২০১৪) জাহাজ দুইটি আনুষ্ঠানিকভাবে নৌবাহিনীর নিকট হস্তান্তর করা হয়। এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিতি ছিলেন নৌবাহিনী প্রধান ভাইস এডমিরাল এম ফরিদ হাবিব।

১৯২৬ সালে শীতলক্ষা নদীর পূর্বতীরে প্রতিষ্ঠিত নারায়ণগঞ্জ ডকইয়ার্ড এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস লিঃ নৌবাহিনীর দক্ষ পরিচালনায় বর্তমানে বাংলাদেশের অন্যতম জাহাজ নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। ইতোমধ্যে প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশ কোষ্টগার্ডের জন্য ওয়াটার জেট প্রপালশন সমৃদ্ধ উচ্চগতি সম্পন্ন পেট্রোল বোট নির্মাণ করে ব্যাপক সুনাম অর্জন করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জন্য দুইটি ল্যান্ডিং ক্রাফট ট্যাংক (এলসিটি) নির্মাণ করেছে, যা বিদ্যমান এলসিটিসমূহের তুলনায় অনেক বেশি মানসম্পন্ন এবং আধুনিক যন্ত্রপাতিতে সুসজ্জিত। উল্লেখ্য, গত ১৭ ডিসেম্বর ২০১৩ তারিখে জাহাজ দুইটির নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করা হয়। ডকইয়ার্ডের প্রকৌশলীদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় মাত্র দশ মাসের মধ্যে জাহাজ দুইটির নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়। জাহাজ দুইটি বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে অপারেশনাল কর্মকান্ডের পাশাপাশি অপরাধ দমন ও উদ্ধার কার্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে।

বাংলাদেশ নৌবাহিনী ১৯৯৯ সালে নারায়ণগঞ্জ ডকইয়ার্ডের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি দেশীয় বিভিন্ন সংস্থার জন্য নৌযান নির্মাণ করছে। বাংলাদেশ নৌবাহিনীর দক্ষ ব্যবস্থাপনা ও কর্মকর্তা কর্মচারীর নিরলস পরিশ্রমের ফলে প্রতিষ্ঠানটি অল্প সময়ে লাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত লাভ করেছে। এ জাহাজ দুটির নির্মাণ ব্যয় বিদেশ থেকে আমদানী খরচের চেয়ে কম হওয়ায় তা দেশের অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে সক্ষম হবে। ডকইয়ার্ডটির এই সাফল্যের কারনে দেশীয় প্রয়োজনে জাহাজ নির্মাণের পাশাপাশি প্রযুক্তির উন্নয়ন, কর্মসংস্থান তৈরী ও বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়সহ অদূর ভবিষ্যতে বিদেশেও জাহাজ রপ্তানীর পথে একধাপ এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ।

অনুষ্ঠানে নৌবাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এবং নারায়ণগঞ্জ ডকইয়ার্ডের কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।



মন্তব্য চালু নেই