বাংলাদেশের রিজার্ভ লুট : সুইফটের নতুন নিরাপত্তা ব্যবস্থা

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির পর নতুন নিরাপত্তা ব্যবস্থা চালু করার পরিকল্পনা করছে সুইফট। আন্তর্জাতিক এই ব্যাংকিং ব্যবস্থা জানিয়েছে, তারা তাদের মেসেজিং সার্ভিসকে সুরক্ষিত রাখতে এবং নিজেদের সুনাম ফিরে পেতেই এই পদক্ষেপ নিচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির পর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন ওঠার পরপরই এ ধরনের পরিকল্পনার কথা জানালো সুইফট। খবর রয়টার্সের।

দ্য সোসাইটি ফর ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ইন্টারব্যাংক ফিন্যানসিয়াল টেলিকমিউনিকেশনের (সুইফট) প্রধান নির্বাহী গটফ্রিড লেইব্রান্ড এ সপ্তাহে সুইফটের একটি পাঁচ ধাপের পদক্ষেপ সম্পর্কে ব্রাসেলসে সম্মেলন করবেন। ওই সম্মেলনে তিনি হয়তো নতুন নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে জানাবেন।

সুইফটের আওতায় ব্যাংকগুলো মেসেজের মাধ্যমে অর্থ সংক্রান্ত নির্দেশাবলী আদান প্রদান করে থাকে। ফেব্রুয়ারিতে সুইফট সিস্টেম ব্যবহার করেই হ্যাকাররা বাংলাদেশ ব্যাংকের রিসার্ভ থেকে ৮১ মিলিয়ন ডলার লুট করেছিল।

গত বছর ওই একই কায়দায় ইকুয়েডরের ব্যাংকো ডেল অস্ট্রো থেকে ১২ মিলিয়ন ডলার চুরি করা হয়েছিল। বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় সুইফটের ওপর ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানগুলো অনেকটাই আস্থা হারিয়ে ফেলেছেন।

এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি ঘটনার পর তিন মাস পেরিয়ে গেছে। ওই টাকা হাতিয়ে নেওয়া ফিলিপাইনের মূল হোতারা এখনও ধরাঁছোয়ার বাইরেই রয়ে গেছেন।

রিজার্ভ চুরির সঙ্গে জড়িতদের কাউকেই এখনও পর্যন্ত আটক করা সম্ভব হয়নি। দেশটির ন্যাশনাল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনও (এনবিআই) এ বিষয়ে পূর্ণ তদন্ত সম্পন্ন করেনি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনা বিশ্বের অন্যতম সাইবার অপরাধের একটি। আর এটি ব্যাংকিং ইতিহাসেও সবচেয়ে বড় চুরির ঘটনা। এসব ঘটনাকে কেন্দ্র করেই হয়তো সুইফটের টনক নড়েছে। আর এ কারণেই নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বেশ কিছু নতুন পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে তারা।

তবে এর আগেও রিজার্ভ চুরির ঘটনায় সুইফট বার বার নিজেদের দায় এড়িয়ে গেছে। সুফট দাবি করেছে, তার গ্রাহকদের নিরাপত্তার বিষয়টি তাদের নিজেদেরই নিশ্চিত করতে হবে। গ্রাহকের কম্পিউটার সিস্টেমে নিরাপত্তা ঘাটতি থাকলে সেক্ষেত্রে সুইফট তো তাদের নিরাপত্তা দিতে পারবে না। তবে গ্রাহকদের জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরো জোরদার করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছে তারা।



মন্তব্য চালু নেই