বাংলাদেশের নতুন অর্জন
বাংলাদেশের চলমান প্রেক্ষাপটে মেধাভিত্তিক ভলান্টিয়ারিং এখনো বিরল, যে মাত্রায় আছে তা নিশ্চিতভাবেই অনেকটা অপ্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে রয়ে গেছে। অর্থাৎ এদেশের যুবাদের বুদ্ধিভিত্তিক সুনাগরিকতা চর্চায় ‘দেউলিয়াত্ব’ ও ‘অনাগ্রহ’ নতুন নয়, দুটোই বরং ঐতিহ্যগত । তবে বাংলাদেশে এখন একটা ধারা/প্রবণতা চলছে, দূর্ভাগ্যজনকভাবে সেটা নিতান্তই যুব নেতৃত্বের বাহ্যিক ও পরিমানগত বিকাশ, অর্থাৎ যুবসমাজের গুণগত ও মেধাগত অগ্রগতি নয়। পরিষ্কার করে বললে নিছক ‘প্রদর্শনগত’ অর্থাৎ ‘ভিতরগত’ উন্নতি নয়।
এ বাস্তবতাকে সামনে রেখে ‘সাউথ এশিয়ান ইয়ুথ সোসাইটি’ বাংলাদেশে অর্ধদশকেরও বেশি সময় ধরে কয়েক ঝাক তরুণ মেধাগোষ্ঠী লালন-পালন করে যাচ্ছে। নীতি নির্ধারণী ও গঠনমূলক চিন্তা ও গবেষণাই তাদের ধ্যান-জ্ঞান। আঞ্চলিক সহযোগিতা, শান্তি ও অগ্রগতি থেকে শুরু করে আর্থ-সামাজিক নানা বিষয়াদি। ১৯৮৫ বাংলাদেশই সর্বপ্রথম সার্ক কাঠামোর ধারণা দিয়েছে। আর এই বাংলাদেশেই উদ্যোগ নেয়া ‘সাউথ এশিয়ান ইয়ুথ সোসাইটি’ ‘অভিন্ন ও সমন্বিত সার্ক’ এর সপ্ন বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। আজ সংস্থাটি সমগ্র দক্ষিন এশিয়াসহ বিশ্বের নানাদেশে বিস্তৃত ও সমাদৃত হয়েছে।
সাম্প্রতিক ‘সাউথ এশিয়ান ইয়ুথ সোসাইটি’ বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় ও ঢাকাস্থ মার্কিন দুতাবাসের সহায়তায় সর্বপ্রথম বাস্তবায়ন করল ‘ছায়া সার্ক সম্মেলন-২০১৫’.
সংস্থাটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি তৌফিক আহমেদ খান বলেন ‘সার্ক রাষ্ট্রসমূহের মধ্যকার অবিশ্বাস ও বিভেদ কমিয়ে এনে দক্ষিণ এশীয়দের মধ্যে পারস্পরিক সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি স্থাপিত করা’.
সম্মেলনের গণমাধ্যম বিষয়ক সমন্বয়ক কাজী জিয়াদ আনসারী এবং প্রতিষ্ঠানটির জনসম্পর্ক ও সংযোগ বিভাগের প্রধান পুন্না ইসলাম সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন এখনকার মেধাবী যুবাদের এমনি একটি দলকে। অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রক হিসাবে আছেন আশরাফুল ইসলাম রেহান। দলীয় সার্বিক পরিকল্পনায় আছেন রফিকুল আলম খান, গ্রাফিক ডিজাইনিং করছেন সোয়াদ আজাদ, ফটোগ্রাফিতে আছেন তাসমিয়া রহমান, ভিডিওগ্রাফী বিভাগ পরিচালনা করছে আব্দুলাহ মোহাম্মদ আরিফ। মুহুর্তের সংবাদ সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে (ফেইসবুক ও টুইটার) হালনাগাদের গুরুদায়িত্ব পালন করছে মনোজিত সাহা। সম্মেলন সংক্রান্ত একটি স্মারকগ্রন্থ তৈরির লক্ষ্যে নিরলসভাবে ডকুমেন্টেশন করছে আমিনা খান। সার্ক সদস্য রাষ্ট্রসমূহ থেকে আগত প্রতিনিধিদলের সাক্ষাত্কার নিয়েছে তামান্না আলম নাভিলা।
এই তরুণদের সমন্নিত কার্যক্রমই এই সম্মেলনটিকে সফলতার দিকে নিয়ে যাচ্ছে। ‘৮৫ এর ‘ঢাকা ঘোষনার’ মাধ্যমে যেমন দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের পারস্পরিক সহযোগিতার একটি ক্ষেত্র তৈরী হয়েছিল ‘১৫ এর ছায়া সম্মেলনের ‘ঢাকা সংলাপের’ মাধ্যমে সেটি একটি নতুন মাত্রা আনবে এবং এই অঞ্চলে বুদ্ধিবৃত্তিক মেধাচর্চার পথকে আরো প্রশস্থ করবে
লেখক: সংবাদ মাধ্যম বিষয়ক বিভাগীয় প্রধান ও সম্পাদনায়- রফিকুল আলম খান , সাউথ এশিয়ান ইয়ুথ সোসাইটি। ইমেইল: [email protected]
মন্তব্য চালু নেই