বাংলাদেশি দুই টাকার নোট কেন ভারতে পাচার হচ্ছে?

যশোরের বেনাপোল বন্দরে চলতি মাসে দুই দফায় দুই টাকার নোটের বড় চালানসহ দুই ভারতীয় নাগরিককে আটক করেছে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি। তাদের কাছ থেকে ২ টাকার ২৬ হাজার নোট উদ্ধার করা হয়েছে। যার মোট অর্থমূল্য ৫২ হাজার টাকা। খবর বিবিসি বাংলার।

ওই ঘটনার মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে আবারো জব্দ করা হয় দুই টাকার নোটের আরো বড় চালান যার মোট মূল্য ৮২ হাজার টাকার বেশি। এ ঘটনায় দুই ভারতীয় নাগরিককে আটক করা হয়।

নতুন দুই টাকার নোটের একদিকে শহীদ মিনারের ছবি অন্যপাশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের মুখাবয়ব। আর পুরনো নোটের একদিকে দোয়েল পাখির ছবি রয়েছে।

মাদক সেবীদের অনেকের কাছে নেশাদ্রব্য গ্রহণের জন্য নতুন দুই টাকার নোট খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ফলে সীমান্তের চোরাইপথ এবং আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট দিয়ে বারবার এই টাকা ভারতে পাচারের চেষ্টা করা হচ্ছে। ভারতের বাজারে এই দুই টাকাই প্রতিটি ৫ রুপি মূল্যে পর্যন্ত বিক্রি করা হয়ে থাকে বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে বিবিসি বাংলাকে বেনাপোল বন্দর থানার ওসি অপূর্ব হাসান জানিয়েছেন, ‘এগুলো ভারতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। সেখানে এই টাকা হেরোইন বা ইয়াবা সেবনের জন্য ব্যবহার করা হতে পারে।’

এসব নোটের মাধ্যমে পাইপ তৈরি করে হেরোইন ও ইয়াবা গ্রহণ করে মাদকাসক্তরা। সিগারেটের প্যাকেটের ভিতরে থাকা রাংতাও এ কাজে ব্যবহার করা হয়। মাদক সেবনকারীদের কাছে এখন আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে বাংলাদেশের দুই টাকার নতুন নোট।

মাস তিনেক আগে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিপুল পরিমাণে দুই টাকার নোট চীনে পাচারের সময় আটক করা হয়েছিল।



মন্তব্য চালু নেই