বরখাস্তের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে মেয়র বুলবুলের রিট

দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ে দায়িত্ব ফিরে পাওয়ার কয়েক মিনিটের মাথায় সাময়িক বরখাস্ত হওয়ার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেছেন রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল।

মঙ্গলবার সকালে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় বুলবুলের আইনজীবী আমিনুল হক হেলাল এই রিট দায়ের করেন। বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে দুপুরে রিট আবেদনের ওপর শুনানি হতে পারে বলে জানা গেছে।

রবিবার পৃথক দুই আদেশে সিলেট সিটি করপোরেশ ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের দুই মেয়রকে সাময়িক বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ। দায়িত্ব নেয়ার তিন ঘণ্টার মধ্যেই সাময়িক বরখাস্ত হওয়া সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর বরখাস্তের আদেশ চ্যালেঞ্জ করে করা রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার তিন মাসের জন্য স্থগিত করেন হাইকোর্ট। বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

বুলবুলকে সাময়িক বরখাস্ত করে মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, মেয়র বুলবুলের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার অভিযোগপত্র আদালতে গৃহীত হয়েছে। আর স্থানীয় সরকারের (সিটি করপোরেশন) ২০০৯ সালের আইনে মেয়রের নামে মামলার অভিযোগপত্র আদালতে গৃহীত হলে তাকে বরখাস্তের বিধান রয়েছে। তাই মেয়র বুলবুলকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো।

প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের জুনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীকে পরাজিত করে মেয়র নির্বাচিত হন বিএনপি সমর্থিত মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল। ২০১৫ সালে ৭ মে ফৌজদারি মামলা থাকায় সিটি মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলকে মেয়র পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। ২০১৬ সালের ১০ মার্চ উচ্চ আদালত তার বরখাস্ত আদেশ অবৈধ ঘোষণা করেন।

গত মঙ্গলবার স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব মাহমুদুল আলম স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা বাস্তবায়নে ভারপ্রাপ্ত মেয়র ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দেয়া হয়।

এরপরই রবিবার সকালে দায়িত্ব নিতে নগর ভবনে যান মহানগর বিএনপির সভাপতি মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল। গিয়ে দেখেন, তার কক্ষটি তালাবদ্ধ। এরপর তিনি প্রথমে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও পরে সচিবের কক্ষে গিয়ে বসে থাকেন। এ নিয়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে দুপুরে নগর ভবনে ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটে। পরে দুপুর ২টার দিকে রাসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. শরীফ উদ্দীন ও সচিব মাহাবুবুর রহমান পুলিশের সহযোগিতায় মেয়রের অফিস কক্ষের দুটি তালা ভাঙেন। এরপর সদ্য বহিষ্কৃত মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল তার চেয়ারে গিয়ে বসেছিলেন। এর কয়েক মিনিট পরই আবার বরখাস্তের কথা শুনেন তিনি।



মন্তব্য চালু নেই