‘বদলিতে ১০ হাজার থেকে ১০ লাখ টাকা ঘুষ’
দেশের স্বাস্থ্য খাতে বদলির জন্য ১০ হাজার থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঘুষ লেনদেন হয়।
অ্যাডহক চিকিৎসক এবং তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগের ক্ষেত্রে নিয়মবহির্ভূতভাবে ১ লাখ থেকে ৫ লাখ টাকা এবং ডিপার্টমেন্টাল প্রমোশন কমিটির (ডিপিসি) মাধ্যমে পদোন্নতির ক্ষেত্রে ঘুষ লেনদেন হয় ৫ লাখ থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) ‘স্বাস্থ্য খাতে সুশাসনের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর মাহাখালীতে হোটেল অবকাশে এই প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে টিআইবি।
প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এসব অনিয়ম ও লেনদেনে দলীয় নেতা, কর্মচারী ইউনিয়ন নেতা, অফিসের প্রধান সহকারী, হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের একাংশের যোগসাজশের অভিযোগ রয়েছে।
এ ছাড়া চিকিৎসকদের সঙ্গে ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কমিশনভিত্তিক অলিখিত চুক্তির মতো অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ রয়েছে। ডাক্তারদের ক্ষেত্রে এ কমিশনের হার ৩০ থেকে ৫০ শতাংশ এবং দালালদের ক্ষেত্রে কমিশন ১০ থেকে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত হয়ে থাকে।
সংস্থা মনে করছে, আইনের সীমাবদ্ধতা, স্বচ্ছতা, জবাবদিহি, সংবেদনশীলতা, তদারকির ঘাটতি, দলীয় রাজনৈতিকীকরণ, দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার ঘাটতি, অবকাঠামোগত দুর্বলতা ও আর্থিক বরাদ্দের স্বল্পতার কারণে এ খাতে চরম সুশাসনের ঘাটতি লক্ষ করা গেছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, উপনির্বাহী পরিচালক ড. সুমাইয়া খায়ের, গবেষণা ও পলিসি বিভাগের পরিচালক রফিক হাসান এবং গবেষণা ও পলিসি বিভাগের সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার শাহজাদা এম আকরাম।
প্রতিবেদনের সারাংশ উপস্থাপন করেন গবেষণা ও পলিসি বিভাগের প্রোগ্রাম ম্যানেজার তাসলিমা আক্তার।
ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘স্বাস্থ্য খাতে সার্বিকভাবে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য ও আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসনীয় ও স্বীকৃতিপ্রাপ্ত অগ্রগতি অর্জন করেছে। তবে সুশাসন নিশ্চিত করে কার্যকরভাবে দুর্নীতি ও বহুমুখী অনিয়ম নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে এ খাতে অর্জন ও অগ্রগতি আরো অনেক ভালো হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে অর্জিত অগ্রগতির স্থায়িত্ব ঝুঁকির সম্মুখীন হবে।’
মন্তব্য চালু নেই