বদলগাছীতে কাঠের মই দিয়ে ব্রীজ পারাপার
কাজী আনিছুর রহমান, রাণীনগর (নওগাঁ) : নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার ছোট যমুনা নদীর উপর পারসোমবাড়িতে একটি ব্রীজ নির্মাণের কাজ চলছে। এদিকে পারসোমবাড়ি খেয়া ঘাটের পারাপার বন্ধ থাকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাঠের মই (সিঁড়ি)দিয়ে নির্মানাধীন ব্রীজের ওপর দিয়ে নদী পারাপার হচ্ছেন লোকজন।
প্রায় ১শ’বছর থেকে পারনোমবাড়ি খেয়া ঘাটের নৌকা দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ২ হাজার মানুষ পারাপার হয়। কোলা, বিলাশবাড়ি, আধাইপুর এবং বালুভরা এই চারটি ইউনিয়নের প্রায় লক্ষাধীক মানুষ এ খেয়া ঘাটে নৌকা দিয়ে পারাপার হয়ে জেলা শহর নওগাঁয় যাওয়া-আসা করেন।
নতুন লোকদের ঘাট ইজারা দেওয়ায় টোল আদায়ের সরকারি নিয়মনীতি না মেনে পারাপারের অতিরিক্ত টোল আদায় করেন তারা। ফলে পারাপারে খেয়া ঘাটের লীজকারীদের সাখে লোকজনের কথাকাটাকাটি মারধরের ঘটনাও ঘটেছে। ডার এক পর্যায়ে খেয়াঘাটটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। এতে চরম দূভোর্গে পড়েছেন স্থানীয়রা। সপ্তাহে দু’দিন পারসোমবাড়ি হাট বসে। স্থানীয়দের উৎপাদিত শাকসবজি ও ধানসহ অন্যান্য ফসল নদী পার হয়ে বাজারে বিক্রি করতে আসতেও দূর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। এছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা সময়মতো নদী পার হতে না পারায় ক্লাসে উপস্থিত হতে পারছে না।
এদিকে ছোট যমুনা নদীর ওপর মারসোমবাড়িতে একটি ব্রীজ নির্মাণ কাছ চলছে। ব্রীজটি সম্পুর্ণ হতে আরো চার-পাঁচ মাসের মতো সময় লাগতে পারে। এ অবস্থায় নির্মাণ শ্রমিকরা একটি কাঠের মই (সিঁড়ি) করেছেন। যে মই বা সিঁিড়ি বেয়ে নির্মানাধীন ব্রীজের ওপর দিয়ে নদী পারাপার হচ্ছেন। অনেকে সাইকেল ঘাড়ে করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পার হচ্ছেন। অনেকে আবার মোটরসাইকেল এক পাড়ে রেখে অপরপাড়ে হাট করছেন।
অনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করে বালুভরা ইউনিয়ন-বিলাশবাড়ী ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা রঞ্জু আলম বলেন, ‘একা মানুষ আমি। অফিস করব না খেয়া ঘাট দেখবো। দলীয় চাপে পড়ে ইউএনও স্যারের সাথে বসে খেয়াঘাটটি লীজ দেয়া হয়েছে। সেখান থেকে যা আয় হয় তা রাজস্ব খাতে জমা হয়’।
বদলগাছী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হুসাইন শওকত বলেন, ‘সরকারি রেটে টোল আদায় করতে বলায় ওরা পারাপারে অপারগতা দেখিয়েছে জন্য খেয়াঘাটটি বন্ধ রয়েছে। আর এখানে প্রশাসনের কিছুই করার নেই’। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ কোন প্রকার অনিয়ম করে খেয়াঘাট লীজ দেওয়া হয়নি। বরং শেখর হোসেন বেশী টাকার ডাক দিয়েছিল বলে তাদের দেওয়া হয়েছে’।
মন্তব্য চালু নেই