আজ ১৭ মার্চ। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৬তম জন্মদিন। আজ সরকারি ছুটির দিন।
বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে মঙ্গলবার ভোরে আওয়ামী লীগের সব দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এ উপলক্ষে মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানিয়েছে সর্বস্তরের জনতা। রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে সকাল ৭টা থেকে এ শ্রদ্ধা নিবেদন শুরু হয়।
প্রথমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর তিনি আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দলের শীর্ষ নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান। এ সময় শেখ হাসিনার সঙ্গে ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, তোফায়েল আহমেদ, আমির হোসেন আমু, মহীউদ্দীন খান আলমগীর, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফসহ শীর্ষ নেতারা।
শ্রদ্ধা নিবেদনের পর শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু ভবনে প্রবেশ করে সেখানে কিছুক্ষণ অবস্থান করেন। তারপর প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু ভবন ছেড়ে গেলে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানানো সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। এ সময় বঙ্গবন্ধু ভবনের সম্মুখসহ ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জনতার ঢল নামে।
জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে একে একে শ্রদ্ধা জানাতে থাকে ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, মহিলা লীগ, যুব মহিলা লীগ, শ্রমিক লীগ, তাঁতী লীগসহ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলো।
বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানাতে ঢল নামে বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের কর্মী এবং সর্বস্তরের জনতারও।
পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।
টুঙ্গিপাড়ায় শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সেখানে শিশু সমাবেশ, আলোচনা সভা, গ্রন্থমেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে। বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে আজ সরকারিভাবে জাতীয় শিশু দিবস পালিত হচ্ছে।
আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলো ছাড়াও বিভিন্ন সংগঠন বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে নানা কর্মসূচি নিয়েছে। দিবসটি পালনের জন্য সরকারিভাবেও নানা কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। এ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
১৯২০ সালের এই দিনে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন বাঙালির মুক্তিসংগ্রামের অবিসংবাদিত নেতা শেখ মুজিবুর রহমান। তার সাহসী ও আপসহীন নেতৃত্বে অনুপ্রাণিত হয়েই পাকিস্তানি ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে স্বাধীনতাসংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল বাঙালি জাতি।