বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণে সহায়তা করবে ভারত

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনী নিয়ে মেগা মুভি (চলচ্চিত্র) নির্মাণে বাংলাদেশকে সহায়তা দেবে ভারত। আজ বুধবার এক বৈঠকে বাংলাদেশের তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর এ প্রস্তাবে সম্মতি জানিয়েছেন ভারতের কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ভেঙ্কাইয়া নাইডু।

নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের ওপর প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ করতে ঢাকা-নয়াদিল্লি একযোগে কাজ করবে। বৈঠকে আরো সিদ্ধান্ত হয়, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ওপর নানা তথ্যসমৃদ্ধ প্রামাণ্যচিত্র তৈরি করতে দুই দেশের কাছে থাকা নানা প্রামাণ্য বিষয়গুলিকে নিয়ে একযোগে কাজ করবে। ভেঙ্কাইয়া নাইডু ও হাসানুল হক ইনু এ সব বিষয়ে একমত পোষণ করেছেন।

বৈঠক শেষে ভেঙ্কাইয়া নাইডু জানান, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ওপর প্রামাণ্যচিত্র তৈরির কাজে ভারতের চলচ্চিত্র বিভাগ, দূরদর্শন এবং অন্যান্য গণমাধ্যমে বাংলাদেশ বিষয়ক যেসব প্রামাণ্য জিনিসপত্র রয়েছে সেগুলো যত দূর সম্ভব কাজে লাগানো হবে।

ভারতের প্রেস ইনস্টিটিউট ব্যুরো জানায়, ২০২০ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করবে বাংলাদেশ। চলচ্চিত্রটি নির্মাণের ব্যাপারে বাংলাদেশকে সহায়তা করার প্রস্তাবে সম্মতি জানান ভেঙ্কাইয়া নাইডু।

তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু জানান, বাংলাদেশে ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের ওপর প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণের ক্ষেত্রে ঢাকা-নয়াদিল্লি একে অপরকে পূর্ণ সহায়তা দেবে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। সেই সময় অসহায় বাংলাদেশের মানুষদের পাশে দাঁড়িয়েছিল ভারতের জনগণ ও সরকার। সেই স্মৃতি বাংলাদেশের মানুষ আজও ভোলেনি। ইনু বলেন, ‘তাই আমরা দুই দেশ যৌথ উদ্যোগে এবারে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ওপর প্রামাণ্যচিত্র তৈরি করব।’ বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ওপর তথ্যচিত্র নির্মাণের ব্যাপারেও বাংলাদেশকে সহায়তা করবে ভারত বলে জানান তিনি।

দুই দেশের মন্ত্রীরা ছাড়াও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ভারতের কেন্দ্রীয় তথ্য-সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব অজয় মিত্তাল, দিল্লিতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলীসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। এ বৈঠকে যৌথভাবে দুই দেশের গণমাধ্যমকর্মীদের দক্ষতা বৃদ্ধি, নবীন চিত্রপরিচালকদের প্রশিক্ষণসহ একাধিক বিষয়ের ওপর জোর দেওয়ার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশ টেলিভিশন ও দূরদর্শনের মধ্যে কার্যক্রম বিনিময়, দুই দেশের চলচ্চিত্র নিয়ে উৎসব যাতে আরো সাবলীলভাবে চলতে পারে সেই বিষয়েও আলোচনা হয়।



মন্তব্য চালু নেই