বকশিবাজার আদালত স্থানান্তরের দাবি

নিরাপত্তার জন্য খালেদা জিয়ার বিশেষ আদালত জজকোর্ট বা যথাস্থানে স্থানান্তর করার দাবি জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া।

শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক নাগরিক সমাবেশে তিনি এ দাবি জানান।

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক অপপ্রচার বন্ধের দাবি এবং হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে বাংলাদেশ রিপাবলিকান ফোরাম এই নাগরিক সমাবেশের আয়োজন করে।

তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়া আদালতের উপর পূর্ণ আস্থা রেখেই সেখানে গিয়েছিলেন। কিন্তু ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীবাহিনী তার প্রাণহানির চেষ্টায় গাড়িবহরে হামলা চালায়। এ পরিস্থিতিতে নেত্রী নিরাপদ নয়, তাই নিরাপত্তার স্বার্থে এ আদালত যথাস্থানে স্থানান্তর করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘নেত্রীকে এক নজর দেখার জন্য বিএনপির নেতাকর্মীরা আদালত প্রাঙ্গণে শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান নেয়। এসময় ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীরা খালেদা জিয়ার গাড়িবহর এবং বিএনপি নেতাকর্মীদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়।’

হামলার সঙ্গে ছাত্রলীগ জড়িত নয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর এমন মন্তব্যের প্রেক্ষিতে তিনি বলেন, ‘পত্রিকাতে যেখানে ছাত্রলীগের হামলার চিত্র স্পষ্টভাবে প্রকাশ পেয়েছে, সেখানে তিনি এমন মন্তব্য কিভাবে করেন। আর এর সঠিক বিচারই বা কিভাবে সম্ভব হবে।’

এসময় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীকে পত্রিকা পড়ার পরামর্শ দেন তিনি।

শনিবার খালেদা জিয়ার গাজীপুরের সমাবেশ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্র রক্ষার স্বার্থে সবাইকে এই জনসভায় আসতে হবে। যেখানেই বাঁধা আসবে সেখানেই প্রতিরোধমূলক অবস্থান নিতে হবে।’

সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘আমাদেরকে সমাবেশ করতে দেন, আপনারাও সমাবেশ করেন। তা হলেই গণতন্ত্র রক্ষা পায়। কারণ সমাবেশ করা আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার।’

তিনি বিএনপির আটক সকল নেতা-কর্মীর মুক্তি দাবি করেন।

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি এবিএম আবুল কালাম রিপনের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি আবু নাসের মোহাম্মাদ রহমতউল্লাহ, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ব্যারিস্টার পারভেজ, এনডিবির মহাসচিব শাহাদৎ হোসেন সেলিম, কর্মজীবী দলের সভাপতি হাজী মোহাম্মাদ লিটন প্রমুখ।



মন্তব্য চালু নেই