বই উৎসব : নতুন বইয়ের ঘ্রাণে শিশুদের মনে আনন্দের দোলা

বছরের প্রথম দিনেই শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেয়ার সরকারি প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে আজ সারা দেশে বই উৎসব পালিত হচ্ছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় রাজধানীতে পৃথকভাবে এ উৎসব পালন করছে।

রোববার সকালে আজিমপুর গভর্নমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।

পাশাপাশি প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মো. মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলার মাঠে পাঠ্যপুস্তক উৎসবে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেন। এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত।

এবারের বই উৎসবের ব্যতিক্রমী দিক হচ্ছে প্রথমবারের মতো পাঁচটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর প্রাক-প্রাথমিকের শিশুদের জন্য তাদের মাতৃভাষায় এবং দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের ব্রেইল বই ছাপানো হচ্ছে।

এছাড়া মাধ্যমিকের শিক্ষক নির্দেশিকা গাইডও এবার নতুন করে ছাপানো হচ্ছে।

এর আগে শনিবার গণভবনে বই উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে প্রধানমন্ত্রী শিক্ষাকে দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার প্রধান হাতিয়ার উল্লেখ করে বলেন, তার সরকার এ লক্ষ্য অর্জনে বদ্ধপরিকর। পাশাপাশি জেন্ডার সমতা ?অর্জনেও কাজ করছে আওয়ামী লীগ সরকার।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০১০ সাল থেকে এ পর্যন্ত আমরা ২৪৩ কোটি পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করেছি। এ বছরও ৩৬ কোটি ২১ লাখ ৮২ হাজার ২৪৫ খানা বই প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের মাঝে বিনামূল্যে বিতরণ করা হবে।

এনসিটিবি সূত্র জানায় দেশব্যাপী প্রাক-প্রাথমিক, প্রাথমিক, মাধ্যমিক, ইফতেদায়ী, দাখিল, দাখিল ভোকেশনাল, এসএসসি ভোকেশনাল, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী এবং দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ৪,২৬,৩৫,৯২৯ জন শিক্ষার্থীর হাতে এ বই তুলে দেয়া হবে।

এছাড়া সৃজনশীল পদ্ধতির আলোকে পড়ানোর সহায়তার জন্য প্রাথমিকের শিক্ষকদের জন্য ৬০ লাখ ১২৪টি ও মাধ্যমিকের শিক্ষকদের জন্য ৪৬ লাখ ৬৬ হাজার ৬৬৪টি গাইড বই তৈরি করা হয়েছে।

২০১০ সাল থেকে শিক্ষার্থীদের হাতে বিনামূল্যে পাঠ্যবই বিতরণ করছে সরকার।



মন্তব্য চালু নেই