ফেব্রুয়ারিতেই বাড়ছে গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম
ফেব্রুয়ারি থেকেই বাড়ছে গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম। এ লক্ষ্যে ২০ থেকে ২৫ জানুয়ারি বিদ্যুতের পাইকারি ও খুচরা মূল্যহার পুনর্নির্ধারণের জন্য গণশুনানি এবং গ্যাসের দাম বৃদ্ধির বিষয়ে ২ থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত গণশুনানি করবে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)।
বিইআরসির সচিব মো. হাবিবুর রহমান জানান, ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) মিলনায়তনে মঙ্গলবার সকাল ১০টায় বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) পাইকারি মূল্যহার পরিবর্তনের বিষয়ে গণশুনানি শুরু হবে। এর পরের দিন বুধবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত গণশুনানি হবে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) সঞ্চালন মূ্ল্যহার পরিবর্তন বিষয়ে। এদিন দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্য)ন্ত চলবে ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটিডের (ওজোপাডিকো) খুচরা মূল্যহার পরিবর্তন বিষয়ের ওপর গণশুনানি। আর ২২ জানুয়ারি পিডিবি এবং ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (ডিপিডিসি) বিদ্যুতের খুচরা মূল্যহার পরিবর্তন বিষয়ে, ২৫ জানুয়ারি চলবে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (আরইবি) এবং ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেডের (ডেসকো) প্রস্তাবের ওপর গণশুনানি।
জানা গেছে, ২ ফেব্রুয়ারি সঞ্চালন কোম্পানি গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেডের (জিটিসিএল) প্রস্তাবের ওপর গণশুনানি অনুষ্ঠিত হবে। ৩ ফেব্রুয়ারি সকালে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (টিজিটিডিসিএল) এবং দুপুর ২টায় পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডের (পিজিসিএল) প্রস্তাবের ওপর গণশুনানি অনুষ্ঠিত হবে। ৪ ফেব্রুয়ারি সকালে বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (বিজিডিসিএল) এবং দুপুরে কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (কেজিডিসিএল) প্রস্তাবের ওপর চলবে গণশুনানি। আর ৫ ফেব্রুয়ারি সকালে জলালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম লিমিটেডের (জেজিটিডিএসএল) এবং দুপুরে সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডের (এসজিসিএল) প্রস্তাবের ওপর শুনানি হবে।
বিইআরসির ঊধ্বর্তন এক কর্মকর্তা জানান, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বৃদ্ধির গণশুনানি শেষে ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই দাম বাড়ানোর ঘোষণা কার্যকর হতে পারে। ভর্তূকি দেওয়া থেকে বেরিয়ে আসতেই বছরে একবার করে সমন্বয় করে নতুন দাম নির্ধারণ করা প্রয়োজন।
জানা গেছে, পাইকারি বিদ্যুতের দাম ইউনিটপ্রতি ৮১ পয়সা বাড়ানো জন্য প্রস্তাব পাঠিয়েছে পিডিবি। এতে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম ৪ টাকা ৭০ পয়সা থেকে বেড়ে ৫ টাকা ৫১ পয়সা করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। আর দাম বৃদ্ধির প্রস্তাবে আবাসিক খাতে দুই চুলার বর্তমান দাম ৪৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার টাকা এবং এক চুলা ৪০০ টাকা থেকে ৮৫০ টাকা করার কথা বলা হয়েছে। অর্থাৎ গ্যাসের দাম সর্বোচ্চ ১২২ দশমিক ২২ শতাংশ বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে।
দাম বৃদ্ধির প্রস্তাবে ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষেত্রে এক হাজার ঘনফুট গ্যাসের বর্তমান দাম ১১৮ টাকা ২৬ পয়সা থেকে ২৪০ টাকা করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। প্রতি এক হাজার ঘনফুট সিএনজির বর্তমান দাম ৮৪৯ টাকা ৫০ পয়সা থেকে এক হাজার ১৩২ টাকা ৬৭ পয়সা এবং সার কারখানায় ৭২ টাকা ৯২ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৮০ টাকা করার কথা বলা হয়েছে।
আবাসিকে মিটারের ক্ষেত্রে প্রতি হাজার ঘনফুট গ্যাসের জন্য ১৪৬ টাকা ২৫ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ২৩৫ টাকা করা হবে। বিদ্যুৎকেন্দ্রে প্রতি হাজার মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের জন্য ৭৯ টাকা ৮২ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৮৪ টাকা, বাণিজ্যিক গ্রাহকদের ক্ষেত্রে ২৬৮ টাকা ০৯ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৩৫০ টাকা, শিল্প গ্রাহকদের ১৬৫ টাকা ৯১ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ২২০ টাকা, চা বাগানের ক্ষেত্রে ১৬৫ টাকা ৯১ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ২০০ টাকার করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য চালু নেই