ফেনীতে পুলিশ ফাঁড়ি ও যাত্রীবাহী বাসে বোমা হামলা, আহত ১৩
ফেনী শহর পুলিশ ফাঁড়ি ও যাত্রীবাহী বাসে বোমা নিক্ষেপ করেছে দূর্বৃত্তরা। এতে এক পুলিশ সদস্য সহ অন্তত ১৩ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে এক মহিলা যাত্রীর অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে। মঙ্গলবার রাতে পরপর দুটি ঘটনায় জেলাজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, রাত সোয়া ৯টার দিকে এসএসকে সড়কস্থ শহর পুলিশ ফাঁড়িতে ৮-১০ জন মুখোশধারী দূর্বৃত্ত পরপর কয়েকটি বোমা নিক্ষেপ করে। বিকট শব্দে পুরো এলাকা প্রকম্পিত হয়ে উঠে। এতে সামছুউদ্দিন (৩৫) নামের এক পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। তাকে ফেনী আধুনিক সদর হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন।
এদিকে প্রায় একইসময় ফেনী-মাইজদী সড়কে বসুরহাটগামী একটি যাত্রীবাহী বাস আমিরগাঁও পেট্রল পাম্প সংলগ্ন স্থানে পৌঁছলে দূর্বৃত্তরা বোমা নিক্ষেপ করে। এতে এক মহিলা সহ অন্তত ১০-১২ যাত্রী আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে আট জনকে দাগনভূঞা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লোক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এরা হলেন-দাগনভূঞা উপজেলার জায়লস্কর ইউনিয়নের উত্তর আলামপুর গ্রামের মিলন (৬৫), দাগনভূঞা সদর ইউনিয়নের জগতপুর গ্রামের আবদুল মান্নান (৬০) ও একই এলাকার আবদুস সোবহান (৬৫), নোয়াখালীর নতুন বাজার এলাকার সবুজ (২৮), সোনাইমুড়ি উপজেলার বজরা ইউনিয়নের এনায়েতপুর গ্রামের বেলাল হোসেন (৬৩), কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সোনাইমুড়ি গ্রামের মো: বেলাল (৩০), কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরকাঁকড়া এলাকার মোহছেনা খাতুন (৫০), কুমিল্লার বরুডা এলাকার মনির আহমদ (৩৫)।
কর্তব্যরত ডা: আশিকুল ইসলাম জানান, আহতদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ফেনী সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অপর আহতদের রাখাল ফেনী সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: সাইফুল হক বিপুলসংখ্যক পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান।
দাগনভূঞা থানার ওসি (তদন্ত) আনোয়ারুল আজিম জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসার আগেই দূর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।
সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) মুহম্মদ শামসুল আলম সরকার জানান, দূর্বৃত্তরা চোরাগোপ্তা হামলা চালিয়েছে। তাদের ধরতে পুলিশ জোর তৎপরতা চালাচ্ছে।
মন্তব্য চালু নেই