‘খালেদা ঘুমিয়ে, সাক্ষাৎ হলো না’

ফিরে গেলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গুলশান কার্যালয়ের সামনে গিয়েছিলেন। কিন্তু তাকে গেট থেকে ফিরে যেতে হয়। কারণ খালেদা জিয়ার কার্যালয়ের গেটটি খোলা হয়নি। বিএনপির কোনো নেতা্ও প্রধানমন্ত্রীকে ভেতরে নেয়ার জন্য এগিয়ে আসেননি। ফলে প্রধানমন্ত্রীকে গেট থেকেই গণভবনে ফিরে গেলেন।

এ ঘটনাটিকে রাজনৈতিক শিষ্ঠাচার নয় এবং অমানবিক বলে উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী।

খালেদা জিয়াকে সমবেদনা জানাতে শেখ হাসিনা গুলশান কার্যালয়ে যেতে চান, এ খবরটি প্রধানমন্ত্রীর কারযালয় থেকে জানানো হয়। খালেদার গুলTUKU-3শান কারযালয়ে কর্মরত নেতারা প্রধানমন্ত্রী অফিসকে না করেননি। এর কিছুক্ষণ পরই প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা গুলশান218 কার্যালয়ের সামনে চলে আসেন।

প্রধানমন্ত্রীও কিছুক্ষণ পর গুলশান অফিসের উদ্দেশে রওনা দেন। ঠিক সেই সময় খালেদা জিয়ার বিশেষ সহকারি শিমুল বিশ্বাস প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে খালেদা জিয়ার দেখা হচ্ছে না। কারণ ছেলের মৃত্যু সংবাদ শুনে খালেদা জিয়া অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাকে ইনজেকশন দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে রাখা হয়েছে।

শিমুল বিশ্বাসের প্রেস ব্রিফিং শেষ হওয়ার মিনিট কয়েক পরই প্রধানমন্ত্রীর গাড়ি বহর খালেদার গুলশান কার্যালয়ের সামনে এসে উপস্থিত হয়। বহরে ছিলেন তিন মন্ত্রী। এরা হলেন, তোফায়েল আহমদ, আমির হোসেন আমু এবং আসাদুজ্জামান কামাল।

প্রধানমন্ত্রীর গাড়ি বহর পৌঁছার পর খালেদা জিয়ার কার্যালয়ের গেটটি বন্ধ করে দেয়া হয়। ভেতর থেকে কেউ প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানাতেও আসেননি। কিছুক্ষণ পর প্রধানমন্ত্রীর গাড়ি বহর ফিরে যায়। একে একে নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যরা্ও গুলশান কার্যালয় ত্যাগ করে।

এ বিষয়টিকে গণমাধ্যমের কাছে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী। তিনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী নিজে আসার পরও দরজা না খোলা ভদ্রোচিত নয়। রাজনৈতিক শিষ্ঠাচার নয়। বিষয়টিকে অমানবিক হিসেবে উল্লেখ করেন ইকবাল সোবহান চৌধুরী।

 

 

 ‘খালেদা ঘুমিয়ে, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ হলো না

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ঘুমের ইঞ্জেকশন দেওয়ায় তিনি ঘুমিয়ে পড়েছেন। এ জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার সাক্ষাৎ আপাতত হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন খালেদা জিয়ার বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস।

তিনি শনিবার রাত ৮টা ২০ মিনিটের দিকে বলেন, কোকোর শোকে খালেদা জিয়া অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাই তাকে ঘুমের ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়েছে। এতে তিনি ঘুমিয়ে পড়েছেন। তিনি ঘুম থেকে উঠে সুস্থবোধ করলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে সাক্ষাতের উদ্যোগ নিব।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে গুলশান কার্যালয়ে আসার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন এ জন্য শিমুল বিশ্বাস ধন্যবাদ জানিয়েছেন। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর এপিএসের সঙ্গে শিমুল বিশ্বাসের যোগাযোগ হয়েছে।

শিমুল বিশ্বাস আরও বলেন, আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। চূড়ান্ত বিজয় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।



মন্তব্য চালু নেই