ফারাক্কার পানি ইস্যু যেন এক নম্বর ইস্যু হয় : বদরুদ্দোজা চৌধুরী

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আসন্ন বাংলাদেশ সফরে ফারাক্কার পানি ইস্যুর মীমাংসার দাবি জানিয়ে সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রফেসর ডা.এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেছেন, ভারত-বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের অমীমাংসিত বিষয়গুলো সমাধানের চেষ্টা করছেন মোদি। সেজন্য মোদিকে ধন্যবাদ জানাই, তবে এবারে মোদির বাংলাদেশ সফরে ফারাক্কার পানি ইস্যু যেন এক নম্বর ইস্যু হয়।

আজ শুক্রবার দুপরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে ভাষানী অনুসারী পরিষদ আয়োজিত ‘ঐতিহাসিক ফারাক্কা লংমার্চ দিবস’ এর আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্কের বিষয়ে তিনি বলেন, ভারতসহ সব দেশের সাথেই আমরা সু সম্পর্ক চাই কিন্তু সে সম্পর্ক যেন মাথানত করার না হয়।

আলোচনা সভায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমেদের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ৫ জানুয়ারির চেয়ে ভয়াবহ নির্বাচন করে দাঁত বের করে হাসতে হাসতে বলেন কয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া নির্বাচন সুষ্ঠ হয়েছে। তার মতো শিক্ষিত লোকজন এ ধরণের কথা বলার কারণে দেশের অবস্থা আজ কোথায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে?

সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, আজকে যারা রাজনীতিতে আছেন, তারা জোয়ার-ভাটা বুঝতে পারছে না। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, কেউ টিকেনি। শেষ একটি পরিণতি হতেও পারে।

সাগরে ভাসমান মানুষদের ব্যাপারে তিনি বলেন, দেশের অনেক অগ্রগতি হয়েছে। নেপালে সরকার যথেষ্ট সহযোগিতা করেছে। কিন্তু সাগরে যে ১০ হাজারের বেশি মানুষ ভাসছে তাদের জন্য সরকারের তৎপরতা কি? এদের উদ্ধার করতে সরকার কি একটা উড়োজাহাজ পাঠিয়েছে? এ অবস্থায় ভাসানী থাকলে তিনি একটি উড়োজাহাজের দাবি করে বলতেন ‘আমাকে ওখানে পাঠানোর ব্যবস্থা কর’।

তিনি বলেন, সাগরে যা হচ্ছে তা আমাদের জন্য লজ্জার। অনেকে বলতে পারেন তারা রোহিঙ্গা, কিন্তু তারা কি মানুষ না? জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র, ক্যাম্বোডিয়া, ইন্দোনেশিয়া সাহায্য করতে পারে অথচ আমরা কি করলাম? এটা লজ্জার।

আয়োজক সংগঠনের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. জসিম উদ্দীনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য দেন সাবেক মন্ত্রী মোস্তফা জামাল হায়দার, সাংবাদিক আমানুল্লাহ কবির, কলামিষ্ট কাজী সিরাজ প্রমুখ।



মন্তব্য চালু নেই