পড়তে পড়তে বেঁচে গেলেন ইয়াং

মৃত্যুভয় কাকে বলে এবং এটি কত প্রকার ও কিকি তা হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছেন ইউ ইয়াং। ৪৮ বছরের এই চীনা ব্যক্তি আট তলার রেলিং ধরে ঝুলে থাকেন বেশ কয়েক ঘণ্টা। উদ্ধারকর্মীদের হাতে উদ্ধার পাওয়ার আগে তার কেবল মনে হচ্ছিল,‘এই বুঝি পড়ে গিয়ে মরে গেলাম।’
নেহাৎ বরাত জোরেই বেঁচে গেছেন হাইনান প্রদেশের হাইকোই শহরের এই বাসিন্দা।ঘটনাটা খুলেই বলি। সেদিন বাইরে থেকেবেশ খানিকটা মদ গিলে এসেছিলেন ইয়াং। এরপর গুনগুন করতে করতে আট তলায় নিজের ফ্লাটে এসে ঢুকেন তিনি। বেশ ফুরফুরে মেজাজে ছিলেন তিনি। তবে তাকে দেখে বিরক্ত হয়েছিলেন তার স্ত্রী। একেতো মদ খেয়ে এসেছেনে তারওপর যত রাজ্যের ফালতু বকুনি। শেষে বিরক্ত হয়ে ইয়াংকে বললেন,‘যাও তো, বাইরে গিয়ে বসে থাক।’
বাইরে এসে ঝুল বারান্দার ধাতব রেলিংটায় আয়েশ করে বসতে চাইলেন ইয়াং। কিন্তু বসার আর সুযোগ পেলেন কোথায়। নেশার ঘোরে রেলিং ফসকে পড়ে গেলেন। তবে ভাগ্যটা ভালোই বলতে হবে তার। আটতলার বারান্দা থেকে নিচে পড়ার আগ মুহূর্তে নিমিষেই রেলিংটা খামচে ধরলেন। এরপর একশ ফুট শূণ্যে ঝুলে রইলেন কয়েক ঘণ্টা ধরে।
প্রথমদিকে পরিবারের লোকজন তাকে টেনে তোলার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। এরপর তারা ইমারজেন্সিতে ফোন করে সাহায্য চাইলেন। খবর পেয়ে ছুটে এলেন উদ্ধারকারী দল। কিন্তু তারাও গলদঘর্ম গয়ে পড়লেন। একেতো গাট্টা গোট্টা ইয়াংয়ের ওজন বেশি-তারওপর মাতাল হয়ে আছেন। ফলে উদ্ধারকর্মীদের কোনোই সাহায্য করতে পারছিলেন না তিনি। শেষে তারা তার দেহের চারপাশে মোটা দড়ি জড়িয়ে তাকে টেনে ওপরে তুলে আনেন। এর আগে রেলিং ধরে ঝুলতে ঝুলতে চোখের সোমনে কেবল মৃত্যু দেখছিলেন ইয়াং।ঘরে ফেরার পর সোজা বিছানায় শুয়েই নাক ডাকতে শুরু করেন। বেচারা! কয়েক ঘণ্টা ধরে কী ধকলটাই না গেছে নিজের ওপর দিয়ে। একেই বলে, নেশার লাটিম ঝিম ধরেছে।
মন্তব্য চালু নেই