প্রেমিকের জন্য ৪ বছরের শিশুকন্যাকে খুন করলেন চাচী

জীবশ্রেষ্ঠ মানবজাতির নৃশংসতার বলি হয়েছে এক নিষ্পাপ ফুলের মতো শিশু। ঘটনার বিবরণে প্রকাশ, মাত্র চার বছরের খাজিদা খাতুন এক শিশুকন্যাকে জীবন্ত কুয়ায় ফেলে খুন করেছে নিজের চাচী ও তার প্রেমিক। ঘটনাটি আসামের হোজাই জেলার নখুঁটি পুলিশ ওয়াচপোস্টের ৩ নম্বর খ্রিংখ্রিং গ্রামে।

আসামের লংকা থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরত্বের এই গ্রামে সংঘটিত নৃশংস খুনের ঘটনায় জড়িত ফতিমা বেগম ও তার প্রেমিক জহিরুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে নখুঁটি পুলিশ। ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত আরেকজন ফেরার বলে জানিয়েছে পুলিশ।

ঘটনা গত রবিবার বেলা এগারোটায় সংঘটিত হলেও সোমবার সন্ধ্যায় খাজিদার দাদীমা মল্লিকা বেগম নখুঁটি পুলিশ ফাঁড়িতে এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ দাখিল করলে এই নৃশংস খুনের ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে।

অভিযোগে মল্লিকা বেগম লিখেছেন, রবিবার সকাল প্রায় ১১টা নাগাদ একই গ্রামে তার পুত্রবধু ফতিমা তার বাপের বাড়ির উদ্দেশে যাচ্ছে বলে দেবর-কন্যা খাজিদাকে নিয়ে যায়। সে থেকে খাজিদা নিরুদ্দেশ ছিল। তারপর অনেক খোঁজাখুঁজির পর খাজিদাকে গ্রামের একটি কুয়া থেকে উদ্ধার করেন প্রতিবেশীরা। তাই শিশুকন্যার মৃত্যুর জন্য শ্বাশুড়ি মল্লিকা বেগম তার পুত্রবধূকে দায়ী করে লিখিত অভিযোগনামায় উল্লেখ করেছেন।

ওই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ফতিমা বেগমকে গ্রেফতার করে। পুলিশি জেরায় এই খুনের কথা কবুল করে এবং এর সঙ্গে তার স্বামী ও প্রেমিক জড়িত বলে বলে স্বীকারোক্তিতে জানায় ফতিমা। পুলিশকে ফতিমা বলেছে, খুব শীঘ্রই তার সঙ্গে প্রেমিক জহিরুলের বিয়ে হতে যাচ্ছে। নিষ্পাপ একটি শিশুকে খুন করার কারণ জিগ্যেস করলে ফতিমা পুলিশকে বলেছে, খাজিদাকে তার গর্ভজাত সন্তান বলে নাকি সন্দেহ করত প্রেমিক জহিরুল। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে বিবাদ চলছিল। তাই তার সন্দেহ দূর করতেই এই ঘটনা বলে স্বীকারোক্তিতে বলেছে ফতিমা।

ফতিমার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে প্রশাসনিক ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে নির্দিষ্ট কুয়া থেকে তুলে আনা হয় অর্ধগলা বিবর্ণ খাজিদার মৃতদেহ। এর পর জহিরুলকে গ্রেফতার করা হয়। তবে তার স্বামীকে ধরা যায়নি, ফেরার হয়ে গেছে সে। -হিন্দুস্তান সমাচার



মন্তব্য চালু নেই