প্রাথমিকে বৃত্তি পেয়েছে ৫৪৪৮১ শিক্ষার্থী

প্রাথমিক বৃত্তি ২০১৪ এর ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। এ বছর মোট ৫৫ হাজার বৃত্তির মধ্যে তা পেয়েছে ৫৪ হাজার ৪৮১ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে ট্যালেন্টপুল কোটায় ২২ হাজারের মধ্যে ২১ হাজার ৯৮৩ জন এবং সাধারণ কোটায় ৩৩ হাজারের মধ্যে ৩২ হাজার ৪৯৮ জন শিক্ষার্থী বৃত্তি পেয়েছে।
রোববার সচিবালয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান এ তথ্য জানান।
মন্ত্রী বলেন, ‘এর আগে পঞ্চম শ্রেণীর বিপুল সংখ্যক নির্বাচিত শিক্ষার্থীর আলাদা পরীক্ষা নিয়ে বৃত্তি দেয়া হলেও ২০০৯ সাল থেকে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে বৃত্তি দেয়া হচ্ছে। এতে পঞ্চম শ্রেণীর সকল শিক্ষার্থী বৃত্তির প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার সুযোগ পাচ্ছে। এতে শিক্ষার গুণগত মানও বাড়ছে।’
মন্ত্রী জানান, এই বৃত্তির ফলাফল প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট www.dpe.gov.bd তে আজ দুপুর ২টা থেকে পাওয়া যাবে। এছাড়া এ ফলাফল মোবাইল অ্যাপস-এও মিলবে।
ইন্টারনেট ছাড়াও মোবাইলেও জানা যাবে বৃত্তির ফলাফল। মোবাইলে বৃত্তির ফল জানতে DPE লিখে স্পেস দিয়ে থানা কোড লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে পাসের বছর লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে। ফিরতি এসএমএসেই ফল পাওয়া যাবে।
মন্ত্রী জানান, ট্যালেন্টপুল বৃত্তির হার মাসিক ২০০ টাকা এবং সাধারণ বৃত্তির হার মাসিক ১৫০ টাকা।
দেশের সর্বোচ্চ ১০টি বৃত্তিপ্রাপ্ত বিদ্যালয় হলো- মিরপুর মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ (১৪৫ জন) ডেমরার শামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজ (৮৫ জন), গুলশানের আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ (৭৬ জন), ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় (৬১ জন), ঠাকুরগাঁও সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় (৫৩ জন), সিলেটের জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ (৫২ জন), ময়মনসিংহ জিলা স্কুল (৫০ জন), গাইবাইন্ধার আহম্মদ উদ্দিন শাহ শিশু নিকেতন স্কুল (৪৯ জন), চট্টগ্রামের বিএন স্কুল অ্যান্ড কলেজ (৪৪ জন) এবং ময়মনসিংহের বিদ্যাময়ী বালিকা বিদ্যালয় (৪৩ জন)।
বর্তমান সরকারের প্রতিশ্রুতি অনুসারে বিদ্যালয়ে গমনোপযোগী প্রায় শতভাগ শিশুকে বিদ্যালয়ে ভর্তি করতে সক্ষম হয়েছে বলে মন্ত্রী জানান।



মন্তব্য চালু নেই