প্রশ্ন ফাঁস রোধে জেএসসিতে ৫ বিষয়ে আলাদা প্রশ্ন

পাবলিক পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে গঠিত সরকারের আন্তঃমন্ত্রণালয় তদন্ত কমিটির সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে শিক্ষা বোর্ড।

আগামী জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) এবং জুনিয়র মাদ্রাসা সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষার জন্য বোর্ডভিত্তিক আলাদা প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করা হবে বলে নিশ্চিত করেছে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের একটি সূত্র।

বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় এবং বিজ্ঞান- এ পাঁচটি বিষয়ে প্রতিটি বোর্ডে পৃথক প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করা হবে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তাও এ পাঁচ বিষয়ের আলাদা প্রশ্নপত্র প্রণয়ণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষার ইংরেজি দ্বিতীয় পত্রের প্রশ্নপত্র ফাঁসের পর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সোহরাব হোসাইনকে প্রধান করে স্বরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

কমিটিকে প্রশ্নপত্র ফাঁসের তদন্তের পাশাপাশি পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে করণীয় নির্ধারণ করে সুপারিশ করতে বলা হয়।

তদন্ত কমিটি প্রতি বোর্ডে আলাদা প্রশ্নপত্র প্রণয়নসহ তথ্য-প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার করে প্রশ্নপত্র বিতরণেরও সুপারিশ করে। বর্তমানে বিজি প্রেস থেকেই পাবলিক পরীক্ষাগুলোর প্রশ্নপত্র ছাপানোর পর বিতরণ করা হয়।

সর্বশেষ এইচএসসি পরীক্ষা ছাড়াও জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ উঠে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের কর্মকর্তারা জানান, তদন্ত কমিটির সুপারিশের আলোকেই এবার জেএসসি-জেডিসির প্রশ্নপত্র বোর্ডভিত্তিক প্রণয়ন করা হচ্ছে।

জেএসসিতে বর্তমানে উল্লেখিত পাঁচটি বিষয় ছাড়াও ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা (ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা/হিন্দুধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা/খ্রিস্ট্রধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা/বৌদ্ধধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা), শারীরিক শিক্ষা ও স্বাস্থ্য/কর্ম ও জীবনমুখী শিক্ষা, চারু ও কারুকলা এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয় পড়ানো হয়।

এছাড়া কৃষিশিক্ষা/গার্হস্থ্যবিজ্ঞান/আরবি/সংস্কৃত/পালি- এগুলোর একটি একটি ঐচ্ছিক বিষয় হিসেবে পাঠদান করা হচ্ছে।

মোট নয়টি বিষয়ের মধ্যে সাধারণ পাঁচটি বিষয়ে অধিক সংখ্যক পরীক্ষার্থী থাকায় সেগুলোর আলাদা প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করা হচ্ছে বলে জানান শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা।

প্রতিটি বোর্ডে আলাদা প্রশ্নপত্র প্রণয়ণের বিষয়টি চূড়ান্ত না হলেও ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. এস এম ওয়াহেদুজ্জামান বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনা পেলেই চূড়ান্ত করা হবে।

পৃথক প্রশ্নপত্র প্রণয়ন সম্পর্কে আন্তঃশিক্ষা সমন্বয় সাব-কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান তাসলিমা বেগম বলেন, আমরা নিরাপদে প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করে পরীক্ষা কেন্দ্রে শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছাতে চাই।

প্রশ্নপত্র প্রণয়ন ও ছাপানোর বিষয়টিকে গোপনীয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, যথাসময়ে এ বিষয়ে জানতে পারবেন।



মন্তব্য চালু নেই