প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের প্যাডে কর্মকর্তাদের স্বাক্ষর জাল, সতর্কবার্তা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কার্যালয়ের প্যাডে কর্মকর্তাদের স্বাক্ষর জাল করে মন্ত্রণালয়গুলোতে বিভিন্ন বরাদ্দ দিতে চিঠি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিভিন্ন শ্রেণীর স্বার্থানেষী মহল নিজ স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে এ কাজ করছে বলে মনে করছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। তাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্যাডে কর্মকর্তাদের স্বাক্ষরিত কোনো ধরনের বরাদ্দের অনুমোদন দেওয়া কিংবা দেওয়ার সুপারিশ সম্বলিত চিঠি পেলেই তা জরুরিভিত্তিতে যাচাই ও সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

গত ৫ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক (প্রশাসন) ড. দেওয়ান মুহম্মদ হুমায়ন কবীর স্বাক্ষরিত একটি চিঠির সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ওই চিঠিটি মন্ত্রিপরিষদ সচিব, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, সকল মন্ত্রণালয় ও বিভাগ এবং প্রধানমন্ত্রীর সকল কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। এর ধারাবাহিকতায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে এ বিষয়ে সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে।

চিঠিতে উল্লেখ রয়েছে, ‘বিভিন্ন শ্রেণীর স্বার্থানেষী মহল নিজ স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বিভিন্ন কর্মকর্তার স্বাক্ষর জাল করে এ কার্যালয়ের প্যাডে পত্র প্রেরণ করছে। এ বিষয়ে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সুনাম ক্ষুণ্ন হচ্ছে।’

চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, ‘এ অবস্থায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে বিভিন্ন ধরনের বরাদ্দ প্রদানের সুপারিশ সম্বলিত পত্রপ্রাপ্তির পর প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করে স্মারকটি যাচাই করে নেওয়ার নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হল। এ ছাড়া এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশ দেওয়া হল।’

জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে চিঠিটি মন্ত্রিপরিষদ সচিব, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, সকল মন্ত্রণালয় ও বিভাগ এবং প্রধানমন্ত্রীর সকল কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। এর ধারাবাহিকতায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে এ বিষয়ে সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে।

এরই ধারাবাহিকতায় ১১ মে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও অর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের প্রশাসন ও কল্যাণ শাখার সহকারী সচিব শেখ সিদ্দিকুর রহমান স্বাক্ষরিত একটি চিঠি আওতাভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোকে দেওয়া হয়েছে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রতিষ্ঠানগুলো হল— বাংলাদেশ ব্যাংক, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি), বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ), ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সকল অতিরিক্ত সচিব ও যুগ্মসচিব, এক্সিকিউটিভ ভাইস চেয়ারম্যান, মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি, নির্বাহী প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ক্যাপিটাল মার্কেট (বিআইসিএম), ব্যবস্থাপনা পরিচালক গ্রামীণ ব্যাংক, ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা সিইও সোনালী/জনতা/অগ্রণী/বিডিবিএল প্রধান কার্যালয়, ব্যবস্থাপনা পরিচালক রুপালী/আইসিবি/বিকেবি/রাকাব/বেসিক/বিএইচবিএফসি/আনসার-ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংক/বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক/প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক/কর্মসংস্থান ব্যাংক প্রধান কার্যালয়, ব্যবস্থাপনা পরিচালক জীবন বীমা করপোরেশন/সাধারণ বীমা করপোরেশন, পরিচালক বাংলাদেশ ইন্সুরেন্স একাডেমী।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, বিভিন্ন ধরনের বরাদ্দ প্রদানের সুপারিশ সম্বলিত পত্রপ্রাপ্তির পর স্মারকটি যাচাই করা বা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশ করা হল।



মন্তব্য চালু নেই