প্রধানমন্ত্রী কাঁদলেন, কাঁদালেন

প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা তাঁর ছোটভাই প্রয়াত শেখ রাসেলের স্মৃতিচারণ করলেন।আবেগঘন কণ্ঠে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন ঘাতকের বুলেটের আঘাতে নির্মমভাবে ছোট্ট শিশু রাসেলের খুন হওয়ার কথা তুলে ধরছিলেন তখন সম্মেলন কেন্দ্রে পিনপতন নীরবতা নেমে আসে।

তিনি বলেন, রাসেল বেঁচে থাকেল আজ তার ৫১ বছর বয়স হতো।স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কণ্ঠ এসময় ভারি হয়ে ওঠে। গোটা হল জুড়ে এক আবেগঘন পরিবশের তৈরি হয়।উপস্থিত ছোট ছোট শিশুদের চোখও ছল ছল করছিল এসময়।প্রধানমন্ত্রী এক সময় নিজেকে সংযত করেন এবং বলেন, তোমরা প্রতিটি শিশু আমার কাছে এক একজন রাসেল।

বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট ঘাতকের বুলেটে নির্মমভাবে তার পিতা-মাতা ভাই বোন ও স্বজনের মৃত্যুর কথা স্মরণ করেন।

প্রধানমন্ত্রী প্রতিবন্ধী শিশুদের দিকে সর্বদা নজর দেয়ার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের বলেন, আমরা শিশুদের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।তোমরাও চলার পথে প্রতিবন্ধী শিশুদের যে যেভাবে পারে সহযোগিতা করবে।কারণ তারাও তো মানুষ।

আমর এরই মধ্যে একটি নীতিমালা করে দিয়েছি। তিনি সব শিশুদের শিক্ষার ওপর জোর দিয়ে বলেন, শিক্ষার বিকল্প নেই।একটি জাতিকে এগিয়ে নিতে হলে শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। আমাদের জাতির পিতা জাতির শিক্ষার ওপর জোর দিয়ে গেছে। আমরা তাকে অনুসরণ করে কাজ করে যাচ্ছি। পরে প্রধানমন্ত্রী শিশুদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।



মন্তব্য চালু নেই