প্রধানমন্ত্রীকে ঘোরানো চালকের চাকরি হচ্ছে বিমানবাহিনীতে, ভ্যান জাদুঘরে

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভ্যানে ঘোরানো চালক মো. ইমাম শেখের (১৭) চাকরি হচ্ছে বিমানবাহিনীতে।

আজ রোববার এ তথ্য জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী এলাকার (টুঙ্গিপাড়া ও কোটালীপাড়া) প্রতিনিধি অ্যাডভোকেট শেখ মো. মোহাম্মদ আবদুল্লাহ।

এদিকে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী যে ভ্যানটিতে করে ঘুরেছেন, সেটা জাদুঘরে নেওয়া হয়েছে। এ জন্য ভ্যানটি উপযুক্ত দাম দিয়ে কিনে নিয়েছে বিমানবাহিনী।

বেলা ১১টার দিকে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় শেখ মো. মোহাম্মদ আবদুল্লাহসহ আওয়ামী লীগের নেতাদের উপস্থিতিতে ভ্যানচালককে বিমানবাহিনীর কাছে তুলে দেওয়া হয়।

যশোর বিমানবাহিনীর স্কোয়াড্রন লিডার মো. হারুনুর রশিদ ও দেলোয়ার হোসেন চালক ইমাম শেখকে গাড়িতে করে যশোরের উদ্দেশে রওনা দেন। বাংলাদেশ বিমানবাহিনী ঘাঁটি বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানে তাকে নেওয়ার কথা রয়েছে।

শেখ মো. আবদুল্লাহ বলেন, ‘বিমানবাহিনীর এক কর্মকর্তা গতকাল রাতে আমাকে ফোন দিয়েছিলেন। তিনি ইমাম শেখকে রেডি থাকতে বলেছিলেন। আজ সকালে কর্মকর্তাদের কাছে তাকে তুলে দেওয়া হলো। যোগ্যতা অনুসারে তাকে চাকরি দেওয়া হবে।’ তিনি বলেন, ইমামের বাবা একজন বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী। মানবিক দিক বিবেচনা করে প্রধানমন্ত্রী এ পদক্ষেপ নিয়েছেন। এ জন্য বিমানবাহিনীকে ধন্যবাদ জানান তিনি।

এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শেখ রুহুল আমীন, সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলী খান, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী গোলাম মোস্তফাসহ দলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

গত শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় গিয়ে হারিয়ে যান শৈশবের মধুর স্মৃতিবিজড়িত দিনগুলোতে। একটি সাধারণ রিকশাভ্যানে করে সরকারপ্রধান ঘুরে বেড়ান কুয়াশামাখা গ্রামের পথে।

ভ্যানে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন তাঁর বোন শেখ রেহানার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি, তাঁর স্ত্রী পেপি সিদ্দিক, তাঁদের মেয়ে লিলা তুলি সিদ্দিক ও ছেলে কায়াস মুজিব সিদ্দিক। কায়াস মুজিবকে কোলে নিয়ে শেখ হাসিনা গ্রামের বিভিন্ন স্থানে ভ্যান থামিয়ে স্থানীয় মানুষের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাঁদের খোঁজখবর নেন।



মন্তব্য চালু নেই