প্রথম আলো সম্পাদক বরাবর সৈয়দ আবুল হোসেন’র চিঠি
পদ্মা সেতুু প্রকল্প নিয়ে বিশ্ব ব্যাংকের ওঠানো দুর্নীতির অভিযোগকে ‘ষড়যন্ত্র’ হিসেবে অভিহিত করেছেন সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন। কানাডার একটি আদালত এই মামলাটিকে ‘অনুমানভিত্তিক’ বলে খারিজ করে দেওয়ার পর আজ শনিবার তিনি দৈনিক প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান বরাবর একটি চিঠি লিখেছেন। চিঠিটি আওয়ার নিউজ বিডি’র পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো-
জনাব মতিউর রহমান
সম্পাদক
দৈনিক প্রথম আলো
ঢাকা।
শ্রদ্ধেয় সম্পাদক মহোদয়,
আসসালামু আলাইকুম।
জনগণের স্বপ্নের পদ্মা সেতু নির্মাণে- বিশ্বব্যাংকের ‘দুর্নীতি ষড়যন্ত্রের’ অভিযোগ- আসামীদের অব্যাহতি লাভ ও কানাডার আদালতে মামলা খারিজ হওয়ার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের একটি দুঃস্বপ্নের অবসান ঘটলো। বাংলাদেশ একটি অন্যায় অভিযোগের বদনাম থেকে মুক্তি পেল। বাংলাদেশের সত্যে অবিচল থাকার দৃঢ় প্রত্যয়ের জয় লাভ করলো। কিন্তু বিশ্বব্যাংকের দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের মিথ্যা অভিযোগের অজুহাতে পদ্মা সেতুর বাস্তবায়ন বিলম্বিত হয়েছে। ২০১৩ সালে যে পদ্মা সেতু চালু হওয়ার কথা- তা ২০১৮ সালের শেষের দিকে চালু হবে। বিশ্বব্যাংকের মিথ্যা ও অহেতুক ষড়যন্ত্রের অভিযোগের কারণে পদ্মা সেতু প্রকল্পের ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশ্বব্যাংক অর্থায়ন না করায় নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু করায় দেশীয় বাজেটে চাপ পড়েছে। দেশের অন্য উন্নয়ন কর্মসূচি সংকুচিত করতে হয়েছে। দেশের ইমেজ ও জনগনণের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর ছেলেমেয়েদের যুক্তরাষ্ট্রের হোম অফিসে প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছে। তৎকালিন সেতু সচিব মোশাররফ হোসেন ভূইয়াকে জেলে যেতে হয়েছিল। সর্বোপরি, আমাকে মন্ত্রীত্ব থেকে সরে যাওয়াসহ নানা হয়রানির শিকার হতে হয়েছে। আমার সামাজিক ভাবমূর্তি বিনষ্ট হয়েছে।
শ্রদ্ধেয় সম্পাদক, আপনি অনেকদিন যাবত সাংবাদিক পেশা সাথে জড়িত। আপনি দেশের একজন প্রতিথযশা সাংবাদিক। প্রথম আলোর মত পত্রিকার সম্পাদক । দেশ-বিদেশে আপনার পরিচিতি আছে। আপনি সরকার ও দেশের অর্থনীতি এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার কাজের বিষয়ে অভিজ্ঞ। তাই আমি বিশ্বাস করি, বাংলাদেশে মেগা প্রকল্পসহ উন্নয়ন কার্যক্রম কিভাবে বৈদেশিক সহায়তায় বাস্তবায়িত হয়- সে বিষয়ে আপনি সম্যক অবগত। বিশ্বব্যাংক যখন পদ্মা সেতুর বিষয়ে আমার ওপর মিথ্যা অভিযোগ আরোপ করলো, সরকারের উপর আমার পদত্যাগের চাপ অব্যাহত রাখলো, তখন এ বিষয়টি যে মিথ্যা ছিল- তা আপনি ভালভাবে জানতেন। বিশ্বব্যাংক অভিযোগে প্রথমে বললো- পদ্মা সেতুতে দুর্নীতি হয়েছে। পরে বললো- দুর্নীতির ষড়যন্ত্র হয়েছে। এর অর্থ দুর্নীতির প্রথম বক্তব্য থেকে বিশ্বব্যাংক সরে এলো। এরপরে বললো- দুর্নীতির অভিপ্রায় হয়েছে। এর অর্থ দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের অভিযোগ থেকেও বিশ্বব্যাংক সরে এলো। বিশ্বব্যাংকের তিনটি বক্তব্যই প্রমাণ করে পদ্মা সেতুতে কোন দুর্নীতি, দুর্নীতির ষড়যন্ত্র ও দুর্নীতির অভিপ্রায় হয়নি। এ সত্যটুকু বুঝার জন্য কানাডার আদালতের রায় কি প্রয়োজন ছিল? এ বিষয়টি আপনার মত অভিজ্ঞ লোকেরা, সাংবাদিকরা বুঝেন না বললে- সত্যের অপলাপ হবে। আজ কানাডার আদালতের রায়ে প্রমাণ হলো- পদ্মা সেতুতে কোন দুর্নীতি হয়নি। দুর্নীতির কোন ষড়যন্ত্র হয়নি। দুর্নীতি ও দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের কোন অভিপ্রায় হয়নি।
শ্রদ্ধেয় সম্পাদক, আজ এটা প্রমানিত- পদ্মা সেতু আন্তর্জাতিক ও দেশীয় ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছিল। বিশ্বব্যাংকের তৎকালিন প্রেসিডেন্ট রবার্ট জুলিক চীনে একটি আন্তর্জাতিক ফোরামে এক সাক্ষাতে আমাকে বলেছিলেন- ‘আমি বুঝতে পারছি পদ্মা সেতু ও আপনি ষড়যন্ত্রের শিকার। বিশ্বব্যাংকের কর্মকর্তারা বাংলাদেশের কতিপয় পত্রিকার অব্যাহত লেখা ও কতিপয় বিশিষ্টলোকের কথায় প্রভাবিত হয়ে এ অভিযোগে করেছে।” আপনি জানেন, এক্ষেত্রে আপনার পত্রিকা প্রথম আলো আমার বিরুদ্ধে অব্যাহতভাবে কিভাবে অসত্য কথা লিখেছেন। আমার ব্যক্তিগত সততাকে, আমার সৎ উদ্দেশ্যকে বিকৃত করে খবর প্রকাশ করেছেন। আমাকে অসৎ ও দুর্নীতিবাজ প্রমানে, দুর্নীতির কালিমা লেপনের লক্ষ্যে আমাকে এবং আমার কাজ নিয়ে মিথ্যা রিপোর্ট করেছেন। আপনার পত্রিকা আমার মন্ত্রিত্বকালিন কাজ নিয়ে, সড়ক দূর্ঘটনার সাথে আমাকে জড়িয়ে ‘মন্ত্রীর পদত্যাগ চাই’, যোগাযোগ মন্ত্রীর গাড়ী ক্রয় নিয়ে, যোগাযোগমন্ত্রীর অফিস সংস্কার নিয়ে, আমার গ্রামের বাড়ী নির্মাণ নিয়ে, যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সড়ক নির্মাণের সার-সংক্ষেপ নিয়ে, বিএনপি’র শাসনামলের প্রণীত শ্বেতপত্রের অভিযোগের মিথ্যা প্রমানিত বিষয় নিয়ে, আওয়ামী লীগ থেকে আমি পদত্যাগ করেছি- এ মর্মে জাল স্বাক্ষর সম্বলিত চিঠির বিষয় নিয়ে, এসবি তদন্তে মিমাংসিত আমার ব্যক্তিগত পাসপোর্টের বিষয় টেনে- আমার বিরুদ্ধে অসত্য রিপোর্ট করে আমাকে বিতর্কিত করেছেন। আমার বিরুদ্ধে লেখা এসব রিপোর্ট ছিল মিথ্যা। এর কোন অংশের সাথে আমার সম্পৃক্ততা নেই- এটা প্রমানিত সত্য। অথচ এই সব মিথ্যা রিপোর্ট প্রকাশ করে আমাকে একজন অসৎ মন্ত্রী হিসেবে চিহ্নিত করার প্রয়াস নিয়েছেন। বিশ্বব্যাংককে আমার বিরুদ্ধে দাঁড় করিয়েছেন এবং আমাকে টার্গেট করে পদ্মা সেতু থেকে অর্থায়ন ফিরিয়ে নিতে বিশ্বব্যাংককে সহযোগিতা করেছেন। বিশ্বব্যাংকের আইন বিশেষজ্ঞ ওকাম্পো ঢাকায় এসে সাংবাদিকসহ কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সাথে বৈঠক করেন। পরবর্তীতে সরকারের সাথে আলোচনায় তিনি শর্ত জুড়ে দেন- “আমি পদত্যাগ করলে, আমার বিরুদ্ধে মামলা ও আমাকে গ্রেফতার করলে বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতুতে এগিয়ে আসবে।” আপনার ও অন্যান্য কতিপয় পত্রিকার লেখাই আমাকে টার্গেট করতে বিশ্বব্যাংককে বাধ্য করেছে।
শ্রদ্ধেয় সম্পাদক, এটা স্বীকার করবেন, আপনার পত্রিকায় অব্যাহত অসত্য রিপোর্ট আমাকে পদ্মা সেতুতে অভিযুক্ত করেছে। এরজন্য আমার পরিবারকে হেনস্তা হতে হয়েছে। পদ্মা সেতু নির্মাণের স্বার্থে আমাকে মন্ত্রিপরিষদ থেকে আমাকে সরে আসতে হয়েছে। আমাকে জনগণের কাছে হেয় প্রতিপন্ন হতে হয়েছে। ঘনিষ্ঠ আত্মীয়স্বজনসহ আমার সব ব্যাংক একাউন্ট তদন্ত করা হয়েছে। কানাডায় আমার জামাতার ব্যাংক হিসাবও তদন্তের আওতায় এসেছে। আপনার ও আপনার পত্রিকার মিথ্যা রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে রাতে টকশো-তে আমাকে অসততার ছাপ মারতে কতিপয় আলোচক মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন। আমি তখন বার বার চিৎকার করে বলেছিলাম- “পদ্মা সেতুর অভিযোগে আমি দোষী নই। আমি সম্পূর্ণ নির্দোষ।” আপনি বা আপনারা আমার কথা শুনেন নাই। বরং আমাকে নিয়ে বাঁকা কথা বলেছেন। আজ কানাডার আদালতের রায়ে আমার সততা উচ্চকিত হলো। আমি নির্দোষ প্রমানিত হলাম। অবশ্য আপনারা, আপনার পত্রিকা আমার বিরুদ্ধে বারবার যে মিথ্যা বিষয়গুলো টেনে এনে অসত্য রিপোর্টের জন্ম দেন- সেগুলো বেশ কয়েকবার দুদকের তদন্তে মিথ্যা প্রমানিত হয়েছে।
শ্রদ্ধেয় সম্পাদক, আজকে আমার এ লেখা আপনাকে আঘাত দেয়ার জন্য, আপনার প্রতি কোন হিংসা-বিদ্বেষ মনে জারি করে লিখিনি। এ লেখা আমার মনের অবস্থাকে আপনার সাথে শেয়ার করে নেয়া। আপনার মন থেকে আমার বিষয়ে গড়ে উঠা বিদ্বেষ ভাবকে দূর করে দেয়া। আমি এমন কি অন্যায় কাজ করেছি, কি দুর্নীতি করেছি, কারো সাথে অসদাচারণ করেছি- যার জন্য আপনি ও আপনার পত্রিকা আমার বিরুদ্ধে এভাবে লিখতে পারেন? কোন বিচারেই, বিশেষ করে, কোন মূল্যবোধের বিচারে দোষী সাব্যস্ত বা আমাকে টার্গেট করে লিখতে পারেন না। এটা অন্যায়, এটা সত্যের প্রতি অপবাদ।
শ্রদ্ধেয় সম্পাদক, আমি সারাজীবন সততা ও ন্যায়ের পথে থেকে ব্যবসা করেছি। অর্থ উপার্জন করেছি। সরকারকে কর দিয়েছি- দিচ্ছি। আমার জীবন স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক। কারো সাথে কখনো কোন খারাপ ব্যবহার করিনি। মানুষের কল্যানে, শিক্ষা প্রসারে অবদান রেখেছি। রাজনীতি ও মন্ত্রিত্ব দিয়ে অর্থ উপার্জন করিনি। পত্রিকার রিপোর্ট ও পদ্মা সেতুর এ নেতিবাচক উপাখ্যান- আমার ব্যক্তিগত সততা ও ভাবমূর্তিকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। কানাডার আদালতের রায় আমার এ সততাকে সমুজ্জ্বল করেছে। কিন্তু বিশ্বব্যাংকের অভিযোগ ও আপনাদের রিপোর্টের কারণে আমার হারানো ভাবমূর্তিকে কি শতভাগ ফিরিয়ে দিতে এ রায় সক্ষম হয়েছে বা হবে?
শ্রদ্ধেয় সম্পাদক, আজ সত্য- মিথ্যা আপনার সামনে। বিশ্বব্যাংকসহ সবাই আজ অনুতপ্ত। সবাই তাদের ভুল বুঝতে পেরেছে। অবশ্য এ বোঝার পিছনে জননেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আত্মবিশ্বাস ও দূরদর্শী সিদ্ধান্ত ক্যাটালিষ্টের ভূমিকা পালন করেছে। কানাডার আদালতের রায়ের পর আমি একটি বিবৃতি দিয়েছিলাম- এক্ষেত্রে আপনার পত্রিকা ভাল ট্রিটমেন্ট দেয়নি। আমি মনে করি, সামগ্রিক বিষয়, বিশেষ করে, আমার প্রতি আপনার পত্রিকা যে অন্যায়ভাবে নেতিবাচক রিপোর্ট করেছে তা আমলে নিয়ে একটি সম্পাদকীয় লিখলে- আমার ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারের প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে। আমি বিশ্বাস করি, এখনো আপনার পত্রিকা- প্রথম আলোর রিপোর্টকে পাঠক গুরুত্ব দেয়। আমার বিরুদ্ধে আপনার পত্রিকা অন্যায়মূলক আচরনে অনুতপ্ত হলে, বা আমার প্রতি যে অন্যায় করা হয়েছে- তার স্বীকার করলে পত্রিকার মান যাবে না বরং এ ধরনের লেখা পত্রিকার ভাবমূর্তি বাড়াতেও সহায়ক হবে।
শ্রদ্ধেয় সম্পাদক, আপনার পত্রিকার অসত্য রিপোর্ট এবং পদ্মা সেতুর বিষয়ে আপনাকে আমি অনেক চিঠি লিখেছি। আপনাকে সত্য প্রকাশে উদাত্ত আহবান জানিয়েছি। আপনার পত্রিকায় প্রকাশিত রিপোর্টগুলো যাচাইয়ে দুদক ও পত্রিকা মিলে যৌথ তদন্তের কথা বলেছি। কিন্তু আপনি এবং অন্য পত্রিকাগুলো তাতে সাড়া দেননি। অথচ পত্রিকা বা মিডিয়া দেশের উন্নয়নে অন্যতম নিয়ামক শক্তি। মিডিয়াকে মানুষ সে চোখে দেখে। ভলটেয়ারের একটি বিখ্যাত উক্তি টেনে আমি বলতে চাই- I disapprove of what you say, but I will depend to the death your right to say it.” ভলেটিয়ারের এ উক্তিটি আমি সমর্থন করি। আমি বিশ্বাস করি, সতের সাথে আপোষ করা এবং সত্যকে মেনে দোষ স্বীকারের মধ্যে কোন বাধা নেই। বরং এটা মহত্বের প্রকাশ। কানাডার আদালতের রায় প্রকাশের পর মিডিয়ায় দেখেছি- সাবেক রাষ্ট্রপতি এবং দেশের স্বনামধন্য রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ডা. এ. কিউ. এম বদরুদোজ্জা চৌধুরী, সাবেক রাষ্ট্রপতি লে. জে. (অব:) হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরত্তোম পত্রিকায় বিবৃতি দিয়ে, প্রবন্ধ লিখে আমাকে ইতিবাচক কথা বলে ধন্যবাদ দিয়েছেন, আমার সততার প্রশংসা করেছেন। ইলেকট্রনিক মিডিয়ার টকশোতে অংশ নিয়ে দেশের বিশিষ্ট সাংবাদিক ও ব্যক্তিবর্গ আমার প্রতি ইতিবাচক ও সহানুভূতিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন। তাঁদের বক্তব্য আমাকে সম্মানিত করেছে, গৌরবান্বিত করেছে। ভেবেছিলাম, আমার প্রত্যাশা ছিল- আপনিও অতীতের বিষয় বিবেচনা করে এ রায় সম্পর্কে ইতিবাচক ও সত্য কথা বলে আমার মনকষ্ট দুর করবেন। আমার প্রতি সহানুভূতি জানাবেন।
শ্রদ্ধেয় সম্পাদক, আপনি দেশের একজন বিশিষ্ট সাংবাদিক। আপনার বুদ্ধি আছে, জ্ঞান আছে, পেশাগত অভিজ্ঞতা আছে। আপনি মিডিয়ায় প্রতিষ্ঠিত ও অভিজ্ঞ সম্পাদক। দেশ সেরা একজন। বিশ্বব্যাংকের অভিযোগের পর আপনি পদ্মা সেতুর দুর্নীতি নিয়ে পত্রিকায় লিখেছেন, আমার বিরুদ্ধে অসত্য রিপোর্ট লিখে আমার সততাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন- যা ছিল সত্যের অপলাপ। এখন যখন সত্য উদ্ভাসিত হয়েছে, সত্য প্রকাশিত হয়েছে- তখন সেই মিথ্যা ও অসত্য বক্তব্য প্রত্যাহার করাই তো সৌজন্যতার দাবী। সত্যের প্রতি অবিচল থাকা, সত্যের প্রতি নিজেকে আত্মসমর্পণ করা- সত্য প্রকাশে সাহসী হওয়াই তো সত্যিকার মানুষের পরিচয়। আমি আপনার পত্রিকায় সত্য প্রকাশের আশায় রইলাম। আমার এ আশা মানবতা ও সত্যের প্রতি আমার অবিচল বিশ্বাসের। ‘বদলে যাও, বদলে দাও’-প্রথম আলোর এই শ্লোগানকে ধারন করে আমার প্রতি সুবিচার করবেন- এটাই কামনা করি। আশা করি প্রথম আলো সত্যের পথে হাঁটবে। মিথ্যে সংবাদ প্রকাশ বন্ধ করে সত্য রিপোর্ট প্রকাশ করে নিজেকে বদলে দিবে। এই প্রত্যাশায় আপনাকে আমার এই পত্র লেখা।
গভীর শ্রদ্ধান্তে,
একান্তভাবে আপনার,
(সৈয়দ আবুল হোসেন)
অনুলিপি-
১. জনাব মিজানুর রহমান খান
যুগ্ম-সম্পাদক, দৈনিক প্রথম আলো
২. জনাব সোহরাব হাসান
যুগ্ম-সম্পাদক, দৈনিক প্রথম আলো
৩. জনাব লাজ্জাত এনাম মহছি
প্রধান বার্তা সম্পাদক, দৈনিক প্রথম আলো
মন্তব্য চালু নেই