প্রত্যেক মানুষের বাসস্থান নিশ্চিত করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের প্রত্যেক মানুষের জন্য বাসস্থান নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের কোনো মানুষ আর নিরক্ষর থাকবে না।

মঙ্গলবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে তিন দিনব্যাপী জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।

২০২১ সালের আগে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করতে জেলা প্রশাসকদের কাজ করার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি জানান, ছিটমহলবাসীর জীবনমান উন্নয়নের জন্য ২০০ কোটি টাকার বাজেট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, গতানুগতিক কাজের পরিবর্তে নতুন নতুন ধারণা ও কৌশল নিয়ে জেলার উন্নয়নে কাজ করতে হবে। ক্ষমতার ধারাবাহিকতার কারণেই দেশের উন্নয়ন হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত রাষ্ট্রের মর্যাদা পাবে।

আজ সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসক সম্মেলনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন তিনি।

বিকেলে সচিবালয়ে মন্ত্রিসভা সম্মেলন কক্ষে হবে বিভিন্ন অধিবেশন। প্রথম দিনের দ্বিতীয় অধিবেশন বিকাল ৪টায় অনুষ্ঠিত হবে।এতে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেবেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। বিশেষ অতিথি থাকবেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান।

বিকাল ৫টায় তৃতীয় অধিবেশনে প্রধান অতিথি থাকবেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। বিশেষ অতিথি থাকবেন পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান এবং অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রী এম.এ মান্নান।

চতুর্থ অধিবেশন সন্ধ্যা ৬টায় প্রধান অতিথি থাকবেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক, বিশেষ অতিথি থাকবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন।

পঞ্চম অধিবেশন সন্ধ্যা ৭টায় প্রধান অতিথি থাকবেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, বিশেষ অতিথি থাকবেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান, ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম এবং তথ্য-যোগাযোগ ও প্রযুক্তিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

এ সব অধিবেশন শেষে বিকাল সাড়ে ৫টায় এবং রাত ৮টা ২০ মিনিটে পৃথক দুটি প্রেসব্রিফিং অনুষ্ঠিত হবে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্মসচিব মো. আশরাফ শামীম অধিবেশনের আলোচনার বিষয়বস্তু সাংবাদিকদের কাছে তুলে ধরবেন।

এবার ডিসি সম্মেলনে আলোচনার জন্য ভূমি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সব থেকে বেশি ২৫টি এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত ২৪টি প্রস্তাব এসেছে।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, ডিসিরা সরকারের নীতি, কৌশল বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। এই সম্মেলনের মধ্য দিয়ে সরকারের নীতি নির্ধারকরা ডিসিদের বিভিন্ন বিষয়ে দিকনির্দেশনা দিয়ে থাকেন। সরকারের বিভিন্ন প্রোগ্রাম ও প্রায়োরিটি সম্পর্কেও স্বচ্ছ ধারণা পান ডিসিরা।

গত রোববার মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, ডিসি সম্মেলনে আলোচনার জন্য বিভাগীয় কমিশনারদের মাধ্যমে জেলা প্রশাসকরা প্রস্তাব পাঠান। এবার ৩৯টি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত ২৫৩টি প্রস্তাবের উপর আলোচনা হবে। ডিসিদের প্রস্তাবনাগুলো সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছিল, তাদের ফিডব্যাক নিয়ে এজেন্ডা চূড়ান্ত করা হয়েছে।

এবার জেলা প্রশাসক সম্মেলনে ভূমি ব্যবস্থাপনা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়ন, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহের কার্যক্রম জোরদারকরণ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, ত্রাণ ও পূণর্বাসন কার্যক্রম, স্থানীয় পর্যায়ে কর্ম-সৃজন ও দারিদ্র্য বিমোচন কর্মসূচি বাস্তবায়ন, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচি বাস্তবায়ন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার এবং ই-গভর্নেন্স, শিক্ষার মান উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ, স্বাস্থ্যসেবা ও পরিবার কল্যাণ, পরিবেশ সংরক্ষরণ দূষণ ও রোধ, ভৌত অবকাঠামোর উন্নয়ন এবং বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের কার্যক্রমের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও সমন্বয় করা হবে বলে জানানো হয়



মন্তব্য চালু নেই