প্রত্যেক পরীক্ষার্থীকে হলে আনতে হবে মোমবাতি!

চলমান এইচএসসি পরীক্ষায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীদের মোমবাতি নিয়ে যেতে বলেছেন কেন্দ্র সচিব।

সোমবার বিদ্যুৎ না থাকায় ভোগান্তির কারণে সামনের পরীক্ষাগুলোতে মোমবাতি নিয়ে আনার এ নির্দেশনা দেন তিনি।

জানা গেছে, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৫টি পরীক্ষা কক্ষে ১৩০০ জন এইচএসসি পরীক্ষার্থী সোমবার বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে পরীক্ষা দিতে সমস্যায় পড়েন। প্রায় দেড় ঘণ্টা বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় তারা ঠিক মতো পরীক্ষা দিতে পারেননি।

এজন্য পরবর্তীতে পরীক্ষার্থীদের সবাইকে একটি করে মোমবাতি সঙ্গে নিয়ে যেতে বলেন কেন্দ্র সচিব। এতে পরীক্ষার্থী ও তাদের অভিভাককরা কেন্দ্রে বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

পরীক্ষার শেষে সময় সাত মিনিট বাড়ানো হলেও অনেকে তাদের পরীক্ষা ঠিক মত দিতে পারেননি বলে অভিযোগ করেছেন।

এ ব্যাপারে সাভার উপজেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (উপজেলা সমাজকল্যাণ কর্মকর্তা) জিয়াউর রহমান বলেন, এ বিষয়ে কেন্দ্র সচিব ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রিন্সিপ্যাল আবদুল জলিলকে দায় নিতে হবে।

এদিকে আবদুল জলিল বলেন, ‘ছাত্রদের পরীক্ষার সুবিধার জন্য তাদেরকে বাসা থেকে মোমবাতি আনতে বলা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আকাশে মেঘের কারণে অন্ধকার নেমে আসলে এবং বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেলে তিনি নিজ উদ্যাগে জাবির প্রান্তিক গেট বাজার থেকে পিয়ন মারফত দ্রুত মোমবাতি এনে ছাত্রদের রুমে আলোর ব্যবস্থা করেন। কিন্তু ১৩০০ ছাত্র ও ২৫টি কক্ষের জন্য পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা না করতে পারায় তিনি ছাত্রদের সাত মিনিট সময় বাড়িয়ে দেন।’

কেন্দ্র সচিব আরও বলেন, বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় তিনি পরীক্ষার সময় বিব্রতকর অবস্থায় পড়েন। সব কক্ষে আলোর ব্যবস্থা না করতে পারায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন তিনি।

এ ব্যাপারে সাভার পল্লী বিদ্যুতের জেনারেল ম্যানেজার সৈয়দ ওয়াহেদুল ইসলাম জানান, প্রচুর বজ্রপাত ও বৃষ্টির কারণে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়। এ সময় লাইন চালু থাকলে বজ্রপাতে সমস্যা দেখা দিতে পারে বলে সাবধানতা অবলম্বন করা হয়। এতে তাদের কিছু করার নেই।

এসময় প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো এতো বড় ক্যাম্পাসে বিকল্প জেনারেটর ব্যবস্থা থাকলেও পরীক্ষা কেন্দ্রে কেন সে সুবিধা দেয়া হয়নি? পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোতে বিকল্প ব্যবস্থা রাখা প্রতিটি কেন্দ্র সচিবের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।



মন্তব্য চালু নেই