প্রতিরক্ষা বাজেট জানার অধিকার জনগণের রয়েছে

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) প্রতিরক্ষাসহ সকল খাতের বাজেট বরাদ্দের ব্যাপারে অধিকতর উম্মুক্ততা ও স্বচ্ছতার দাবি জানিয়েছে। একই সঙ্গে এ বিষয়ে সংসদে ও সংসদের বাইরেও ব্যাপক আলোচনার সুযোগ সৃষ্টির আহ্বান জানিয়েছে তারা।

মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান এসব দাবি জানান।

বিবৃতিতে কালো টাকা সাদা করার সুযোগের ব্যাপারে দীর্ঘদিনের উদ্বেগ পুনর্ব্যক্ত করে এই অসাংবিধানিক, অনৈতিক এবং বৈষম্য সৃষ্টিকারী সুযোগ আসন্ন বাজেটে না দেওয়ার জন্যও সরকারের প্রতি আহ্বানও জানায় টিআইবি।

প্রতিরক্ষা বাজেটের বিষয়ে ড. জামান বলেন, ‘প্রতিরক্ষা বাজেটের ব্যাপারে বর্তমান চর্চা অনুযায়ী নাম মাত্র প্রকাশিত তথ্যের চেয়ে আরো অধিক জানার অধিকার জনগণের রয়েছে, কারণ জনস্বার্থেই জনগণের অর্থ প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয়িত হয়। প্রতিরক্ষা খাতকে ধরা-ছোঁয়ার বাইরের খাত হিসেবে বিবেচনা না করে জাতীয় স্বার্থের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ খাত হিসেবে এ ব্যাপারে মুক্ত আলোচনার সুযোগ তৈরি করতে হবে যেন এ ব্যাপারে অধিকতর জনআস্থা তৈরি হয়। এর ফলে প্রতিরক্ষা ব্যয়ের ব্যাপারে জনসমর্থনও বৃদ্ধি পাবে।’

ড. ইফতেখারুজ্জামান বিবৃতিতে বলেন, ‘২০১৪-১৫ সালের জাতীয় বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ প্রদান থেকে বিরত থাকার সরকারি অবস্থানের সংবাদে আমরা আশান্বিত। কোন প্রকার অশুভ চক্রের চাপের মুখে নতি স্বীকার না করে সংবিধানের ২০(২) ধারার সাথে সাংঘর্ষিক এই সুযোগ না প্রদানের জন্য আমরা সরকারকে আবারো আমাদের আহ্বান পুর্নব্যক্ত করছি।’

বিবৃতিতে সাধারণ জনগণের কাছে উম্মুক্ততা, স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠায় বাজেটে প্রতিরক্ষা খাতের বরাদ্দের ব্যাপারে আরো সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রকাশের দাবি জানিয়ে বলা হয়, ‘বার্ষিক জাতীয় বাজেটে অন্যতম শীর্ষ বরাদ্দপ্রাপ্ত খাত হিসেবে কেবল নয়, বরং প্রতিরক্ষা ব্যয়ের উম্মুক্ততা প্রতিরক্ষা খাতের বিশ্বাসযোগ্যতার জন্যও অপরিহার্য।’

এছাড়া স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার স্বার্থে ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে বাজেটের বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া এবং বার্ষিক উন্নয়ন পরিকল্পনা অনুযায়ী অর্থ ব্যয়ের অগ্রগতি সম্পর্কে তথ্য প্রকাশের মাধ্যমে জনগণ কর্তৃক পরীক্ষা-নিরীক্ষার সুযোগ সৃষ্টির দাবিও বিবৃতিতে জানানো হয়।



মন্তব্য চালু নেই